নট আউট হয়েও মেন্ডিস হাঁটলেন ড্রেসিংরুমের পথে
রুবেল হোসেনের জোড়ালো আবেদন ছিল না। মুশফিকুর রহিমও তেমন কোনো আবেদন করেননি। কিন্তু কুশল মেন্ডিস জানতেন তার ব্যাটে বলের স্পর্শ পড়েছিল। সবাই যখন পরবর্তী ওভারের জন্য ব্যস্ত তখন মেন্ডিস হাঁটলেন ড্রেসিং রুমের পথে। দেখালেন সততা, দেখালেন স্পোর্টসম্যানশিপ। ‘কেন আউট হয়েও থাকব ক্রিজে?’- এমন চেতনায় বিশ্বাসী কুশল মাঠ ছাড়লেন নিজের সিদ্ধান্তে।
সেঞ্চুরি পাওয়া কুশল পেরেরার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করছিলেন কুশল মেন্ডিস। দুজনের জুটিতে আসে পাক্কা ১০০ রান। পেরেরা আউট হওয়ার পর মেন্ডিস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিন্তু তার ফিরে যাওয়া ছিল অন্যরকম। রুবেলের লাফিয়ে উঠা বলে কাট করতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। বল যায় মুশফিকের হাতে। মুশফিকের মাথায় হাত, রুবেলেরও তাই। দুজনই চিন্তা করছিলেন, ইশ! ব্যাটের আলতো ছোঁয়া যদি বলটা পেত! মুশফিক, রুবেল, আম্পায়ার সবাই ফিরছিলেন পরবর্তীতে ওভারের জন্য। কিন্তু মেন্ডিস যাচ্ছিলেন ড্রেসিংরুমের পথে। লাফিয়ে উঠা বল তার ব্যাটের আলতো ছোঁয়া পেয়েছিল।‘ ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট’Í কথাটার যথার্থ প্রমাণ দিয়ে গেলেন কুশল মেন্ডিস। ১৮ রানে মাহমুদউল্লাহর হাতে জীবন পাওয়ার পর ৪৩ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইন্টারনেট।