টিকিট আছে কিনা জানা যাবে অ্যাপে
স্টাফ রিপোর্টার : কমলাপুরসহ রাজধানীর ৫ স্থান থেকে একযোগে গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় এ টিকিট বিক্রি হয়, চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এদিন দেওয়া হয় আগামী ৭ আগস্টের টিকিট। আর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৬টা থেকে। টিকেট আছে কি না জানা যাবে অ্যাপে।
একজন সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট নিতে হবে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে ২ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়া ঈদ শেষে ট্রেনে ঢাকায় ফেরার টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৫ আগস্ট থেকে। আর তা চলবে ৯ আগস্ট পর্যন্ত।
জানা গেছে, আগামী ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। এবার ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। এগুলো কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন।
অন্যদিকে, ৫ আগস্টে দেওয়া হবে ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট, ৬ আগস্ট ১৫ আগস্টের, ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের আর ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের টিকিট দেওয়া হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। মোবাইল অ্যাপ আর অনলাইনেও (ই-সেবা) টিকিট বিক্রি চলছে। অ্যাপে দিনে কত টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তা মনিটর করে অ্যাপেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন সকাল ৬টায় অ্যাপসে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। দিনে কত টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তা মনিটর করে অ্যাপেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অ্যাপের মাধ্যমেই জানা যাবে টিকিট আছে কিনা। এদিকে সোমবার কমলাপুর রেল স্টেশনে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এসময় তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপ আর অনলাইনে (ই-সেবা) শুরুর সাড়ে চার ঘণ্টায় সাত হাজার ৪৬৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এখন থেকে আন্তঃনগর মেইল সব মিলিয়ে ৫৯ হাজার ৬৭৭ টিকিট একদিনের জন্য যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, আজকে ১০ হাজার ৭৭৪টি টিকিট মোবাইল অ্যাপ ও ই-সেবার মাধ্যমে বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৭৪ আর ই-সেবার মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭৮৯টি টিকিট। এ সময়ে টিকিট অবিক্রীত ছিল তিন হাজার ৩৫১টি। মোবাইল অ্যাপস ও ই-সেবার মাধ্যমে কাউন্টারে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৩৭টি টিকিট।
মন্ত্রী জানান, এবারও রাজধানী ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী খুলনা ও রংপুর বিভাগের টিকিট কমলাপুর থেকে দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে দেওয়া হচ্ছে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের টিকিট।
এছাড়াও তেজগাঁও থেকে দেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহ জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট। বনানী থেকে দেওয়া হচ্ছে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের টিকিট এবং পুরোনো ফুলবাড়িয়া স্টেশন থেকে দেওয়া হচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকিট।