শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইতিহাস ঐতিহ্যে গাইবান্ধার প্রত্নসম্পদ

মোঃ জোবায়ের আলী জুয়েল : গাইবান্ধার প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রতœসম্পদ-এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সপ্তদশ শতাব্দীর বর্ধনকুঠি, নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি, কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ, শ্বেতপাথরের বৃষমন্দির, মীরের বাগান, শাহ সুলতান গাজীর মসজিদ (১৩০৮ খ্রি:), বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ি (১২৫৯ খ্রি:), ভরতখালীর কাষ্ঠকালী মন্দির, রাজা বিরাটের স্থাপনা সমূহের ধ্বংসাবশেষ, গোবিন্দগঞ্জের প্রাচীন মাস্তা মসজিদ ইত্যাদি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের ‘রাজা বিরাট’ নামক জায়গাটির সঙ্গে “গাইবান্ধা” নামকরণের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মহাভারতের কৌরবদের চক্রান্তের শিকার হয়ে পঞ্চপা-বরা ১২ বছর বনবাসের শেষ ১ বছরের অজ্ঞাতবাসকালে মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানীতে ছদ্মবেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এলাকাবাসীর বিশ্বাস, গাইবান্ধা এলাকার বিরাট রাজার গোশালা ছিলো এবং পঞ্চপা-বের শেষ দুই ভাই নকুল ও সহদেব গোশালটি রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। এই গোশালা থেকেই গাইবান্ধা নামকরণের উৎপত্তি হয়েছে।
বর্ধনকুঠি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নিকট বর্ধনকুঠিতে স্থানীয় জমিদারদের রাজবাড়ি ও মন্দিরাদির ধ্বংসাবশেষ আজও দেখা যায়। ঐতিহাসিক বর্ধনকুঠির পুরাকীর্তি এবং সংলগ্ন বাসুদেবমন্দির বিলুপ্ত হতে চলেছে। বাসুদেব মন্দিরের সামান্য কিছু অংশ জরাজীর্ণ অবস্থায় এবং রাজবাড়ির কিছু অংশ ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ হয়ে কোনোরকমে এখনও টিকে আছে। স্থানীয় লোকজন এসব পুরাকীর্তির প্রাচীন ভবন ভেঙ্গে ইটগুলো পর্যন্ত নিয়ে গেছে। সেটা বহু বছর আগের কথা। সেই ইতিহাস আজ খুঁজে পাওয়া যায় না।
গোবিন্দগঞ্জের এক বিশাল এলাকা জুড়ে ছিলো ইব্দ্রাকপুর পরগণা, এই পরগণার সদরদপ্তর ছিলো বর্ধনকুঠিতে। চতুর্দশ শতকের গোড়ার দিকে রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ ইদ্রাকপুর পরগণা দখল করে তার রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। রাজেন্দ্র নারায়ণ ছিলেন দেব বংশীয় এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জমিদার বংশের লোক।
এঁরা ছিলেন রাঢ়ীয় কায়স্থ। রংপুরের কালেক্টর গুডল্যাডের ১৭৮১ সালের ইদ্রাকপুর সম্পর্কিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, রাজেন্দ্র নারায়ণ থেকে আর্যাবর পর্যন্ত ১৪ জন জমিদার ও রাজা বর্ধনকুঠির শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তারপর আর্যাবরের পুত্র রাজা ভগবান এবং তাঁর পুত্র রাজা মনোহর বর্ধনকুঠির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে বর্ধনকুঠির উল্লেখযোগ্য রাজারা হলেনÑ (১) রাজা ভগবান (১৬৬৯ খ্রি:) (২) রাজা মনোহর (৩) রাজা রঘুনাথ (৪) রাজা রামনাথ (৫) রাজা বিশ্বনাথ (৬) রাজা শিবনাথ (৭) রাজা কৃষ্ণনাথ (৮) কুমার ব্রজকিশোর (৯) কুমার নবকিশোর (১০) কুমার গৌরিকিশোর (১১) রাজা শ্যাম কিশোর (১২) রাজা গোবিন্দকিশোর (১৩) রাজা চন্দ্রকিশোর (১৪) কুমার শৈলেশ চন্দ্র। চন্দ্রকিশোরের ভ্রাতার নাম গোবিন্দকিশোর।
বর্ধনকোটের নাম বদল হয়ে গোবিন্দগঞ্জ নামকরণ হলো এই গোবিন্দকিশোর রাজার নামে। বর্ধনকুঠিতে দুটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে। সর্বমঙ্গলা ও শ্যামাসুন্দরের মন্দির নামে পরিচিত মন্দির দুটি এমনভাবে ধ্বংস হয়েছে যে, এগুলোর কোনো বর্ণনা দেয়া প্রায় অসম্ভব। মোঘল আমলের পাওলা ইটে নির্মিত মন্দির দুটি আনুমানিক ১৬০১ ও ১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে বর্ধনকুঠির জমিদার রাজা ভগবান দাস কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল বলে মন্দির দুটির গাত্রে যে শিলালিপি ছিলো তা থেকে জানা যায়। খুব সম্ভব পাঙ্গার রাজা মধুসূদন বা মধুসিংহ (কোচবিহার রাজা নরসিংহের পৌত্র) বর্ধনকুঠির পাঁচআনা অংশ ইতোপূর্বে দখল করে নিয়েছিলেন। ১৬৬৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সম্রাট আওরঙ্গজেব মধুসিংহকে উচ্ছেদ করে রঘুনাথের জমিদারি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ফরমান জারি করে। শাহ সুজার কাছে জায়গির প্রাপ্ত চান্দরায় একজন মোঘল কর্মচারী ছিলেন। উত্তরাধিকারী দ্বন্দ্বের সময় তিনি সম্ভবত আওরঙ্গজেবের বিপক্ষে ছিলেন। সে কারণে একই সময়ে বাহারবন্দ ও ভিতরবন্দের জমিদারী থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করা হয় বলে মনে করা হয়। চান্দরায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত একালের ইতিহাস অস্পষ্ট হয়েই থাকবে।
রঘুনাথ রায় সম্পর্কে ইতিহাসে কিছুটা বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়, কোচবিহারের ইতিহাসে বলা হয়েছে যে বর্ধনকুঠির রঘুনাথ রায় বাহারবন্দ পরগণা লাভ করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম সত্যবতী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সত্যবতী নাটোরের রানী ভবানীর মাসি বলে স্বীকৃত। তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন এ কথাও ইতিহাস স্বীকার করে। জানা যায়, তিনি অপুত্রক ছিলেন। সত্যবতীর বিয়ে হয়েছিল কামরূপীয় বা মৈথলী ব্রাহ্মণের সাথে।
বর্ধনকুঠির ইতিহাসে রঘুনাথ আছেন। তিনি অপুত্রক ছিলেন না। তাঁর পুত্রের নাম মনোহর। রঘুনাথ বাহারবন্দের জমিদারি পেয়েছিলেন এমন কথা বর্ধনকুঠি রাজবংশের ইতিহাসে নেই। সত্যবতীকে কায়স্থ পরিবারে বিয়ে দেয়া হয়েছিল এমন কথাও ইতিহাসে নেই। তবে তাঁকে মৈথিলী ব্রাহ্মণ পরিবারে বিয়ে দিয়ে তাঁর কাকা সমাজে ধিকৃত হয়েছেন বলে জানা যায়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, সত্যবতীর স্বামী রঘুনাথ বর্ধনকুঠির জমিদার রঘুনাথ এক নয়। এই রঘুনাথকে খুঁজতে হলে সমসাময়িক জমিদার বংশের ইতিহাসে খোঁজা প্রয়োজন। পীরগাছা মন্থনার জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা জিতু মিশ্রের পৌত্র রঘুনাথ এবং আলোচ্য রঘুনাথ এক ব্যক্তি কিনা তা আমরা ভেবে দেখতে পারি।
রঘুনাথের মৃত্যুর পর রানী সত্যবতী বাহারবন্দ ও ভিতরবন্দের জমিদারীর মালিক হন। তিনি দক্ষতার সাথে জমিদারি পরিচালনা করতেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিখ্যাত ব্যক্তিরা হলেন: শাহ আব্দুল হামিদ (স্বাধীন বাংলাদেশের গনপরিষদের প্রথম স্পীকার), গোপাল মজুমদার (অল ইন্ডিয়া ষ্টুডেন্টস ফেডারেশন ও কমিউনিষ্ট পার্টির কর্মী)।
রংপুরের কালেক্টর রিচার্ড গুডল্যাড (১৭৮১-১৭৮৪ খ্রি:) তাঁর বিবরণীতে জানিয়েছেন যে, সত্যবতীর কাছ থেকে বাহারবন্দ নিয়ে নেয়া হলো এবং তা রামকান্তকে দেয়া হলো। নাটোররাজ রামকান্তের মৃত্যু হয় ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে। তাঁর মৃত্যুর পর রানী ভবানী লাভ করলেন এই জমিদারীর ভার।
১৭৮৬-১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে এক বছরের জন্য বাহারবন্দ ও ইদ্রাকপুর নিয়ে গঠিত হয়েছিল ঘোড়াঘাট কালেক্টরেট। সেটি স্থায়ী হতে পারেনি। সেখানে কালেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন রংপুরের কালেক্টর রিচার্ড গুডল্যাড।
কাষ্ঠকালী মন্দির
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের কাষ্ঠকালী মন্দির সারা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান হিসাবে সমধিক পরিচিত। লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী থেকে জানা যায়, এটি অন্তত প্রায় ২শ’ বছরের পুরনো কালীমন্দির। কিংবদন্তী আছে ঘাঘট নদীতে ভেসে আসা একটি কাঠের গুড়ি ভরতখালী হাটে কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে এ থেকে রক্তপাত শুরু হয় এবং সমগ্র এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
একরাতে তৎকালীন জমিদার রমনীকান্ত রায় স্বপ্নাাদেশ পান -“আমি তোর ঘাটে এসেছি, তুই আমার যোগ্য সমাদার করে পুজা দে।” তখনিই রামাকান্ত কারিগর দিয়ে কাঠের গুঁড়িটিকে কালীমূর্তিতে রূপান্তরিত করে পূজা-অর্চনা শুরু করেন। পরবর্র্তীকালে মানতে সন্তুষ্ট হয়ে রামাকান্ত এটির জন্য মন্দির গড়ে দেন। প্রতি বছর অগণিত লোক এখনও ভরতখালীর কাষ্ঠকালী মন্দির দর্শনের জন্য উপস্থিত হন।
বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ি
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের জমিদারদের ইতিহাস এখন কেবলই ইতিহাস। কেবলই হারানো স্মৃতি।
মন্দিরের গাত্রে উৎকীর্ণ ফলক থেকে জানা যায়, ১২৫৯ বঙ্গাব্দে বামনডাঙ্গার জমিদারবাড়ির ইমারতগুলো নির্মিত হয়। এখানকার প্রতাপশালী জমিদার মনীন্দ্রচন্দ্র রায়চৌধুরী ও সুনীতিবালা দেবী বিস্তীর্ণ এলাকাকে বিভক্ত করে প্রশাসনিক এবং রাজস্ব আদায় বিষয়ক কর্মকা- যৌথভাবে পরিচালনা করতেন। উল্লেখ্য যে, “কংসবধ” কাব্যগ্রন্থের কবি দ্বিজহরি বামনডাঙ্গায় বাস করতেন। জমিদারবাড়ির পাশে অবস্থিত শিবমন্দির ও ৩টি ছোট ছোট কুঠরিতে শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে। জমিদারবাড়ির ধ্বংসাবশের ওপর আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।
নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি
উপমহাদেশের প্রখ্যত নাট্যকার নাট্যশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও চলচ্চিত্র অভিনেতা তুলসী লাহিড়ীর স্মৃতি-বিজড়িত সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার জমিদারবাড়ি এ জেলার অতীত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস বহন করে চলেছে। তুলসী লাহিড়ী (১৮৯৭-১৯৫৯ খ্রি:) নলডাঙ্গায় এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বি.এ. ও বি.এল. পাস করে তিনি প্রথমে রংপুর শহরে ও পরে কলকাতায় আলিপুর কোর্টে ওকালতি করেন। এ সময় তাঁর রচিত দুটি গান জমিরউদ্দিন খাঁ রেকর্ড করলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি পরিচিত হন। এর ফলে হিজ মাষ্টার্স ভয়েস ও মেগাফোন গ্রামোফোন কোম্পানীতে তিনি সঙ্গীত পরিচালকের পদ লাভ করেন। এক সময়ে তিনি আইন ব্যবসা ত্যাগ করে চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনয়ে যোগ দেন এবং ক্রমে মঞ্চাভিনেতা, চিত্রাভিনেতা, গীতিকার, নাট্যকার ও চিত্রপরিচালক হিসেবে দেশবরেণ্য হন।
তুলসী লাহিড়ী যখন চিত্রজগতে প্রবেশ করেন তখন ছিলো চলচ্চিত্রের নির্বাক যুগ। ক্রমে সবাক যুগের প্রচলন হয় এবং তিনি পঞ্চাশটির ও বেশি ছবিতে অভিনয় করেন।
সামাজিক নিপীড়নের আলেখ্য অবলম্বনে ‘দু:খীর ঈমাম’ (১৯৪৭ খ্রি:) ও ‘ছেঁড়াতার’ (১৯৫০ খ্রি:) নাটক রচনা করে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। তাঁর অসামান্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘মায়ের দাবি’ (১৯৪১ খ্রি:) ‘পথিক’ (১৯৫১ খ্রি:), ‘লক্ষ্মীপ্রিয়ার সংসার’ (১৯৫৯ খ্রি:) ‘মনিকাঞ্চন’, ‘মায়া কাজল’, ‘চোরাবালি’, ‘সর্বহারা’ প্রভৃতি। ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার অসাড়তা প্রমাণ করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি নাটকগুলি রচনা করেন। তুলসী লাহিড়ীর ভাই গোপাল লাহিড়ী ছিলেন একজন ভারত-বিখ্যাত ক্ল্যারিওনেট বাদক। যে চাকরকে গোপাল লাহিড়ী বন্ধুক চালানো শিখিয়েছিলেন, সেই চাকরের গুলিতেই তিনি প্রাণ হারান মাত্র ৩৬ বছর বয়সে। নলডাঙ্গার জমিদার বংশের এক বিখ্যাত কবির নাম শ্রী গোবিন্দ কেলীমুন্সি। তিনি দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন ‘সুধার আকর’ এবং ‘সংক্ষিপ্ত ভগবত’। এই নলডাঙ্গা জমিদার বংশের আরও একজন বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাঁর নাম গুরুদাশ তালুকদার। তিনি নাট্য অভিনেতা হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছিলেন। নলডাঙ্গার উল্লেখযোগ্য প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ, শ্বেতপাথরের কৃষ্ণমন্দিরের অভিনব নির্মাণশৈলী মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ নির্মিত এই মন্দির গাত্রের শিলালিপি থেকে নলডাঙ্গার জমিদার বংশের কৃতিমান ব্যক্তি সুরেন্দ্রনাথ দেব শর্মা ও শ্রীমতি শৈলবালা দেবীর নাম পাওয়া যায়।
সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধার এইসব গৌরবোজ্জল প্রত্নসম্পদ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। ঐতিহাসিক-এ নিদর্শনগুলোকে এখনই সযত্নে সংরক্ষণ করা না হলে একসময় সেসব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে চিরকালের মতো।
তথ্যসুত্র :
(১) ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান’ -আলমগীর হোসেন (জুন, ২০০৭ খ্রি:)
(২) ‘বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ’- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া (প্রথম প্রকাশ ১৯৮৪ খ্রি:)
(৩) ‘হারিয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধার প্রত্নসম্পদ’- আবু জাফর সাবু (সাপ্তাহিক ২০০০)।
লেখক : সাহিত্যিক, কলামিস্ট, গবেষক, ইতিহাসবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
[email protected]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ