বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশের অবস্থা ভয়াবহ -শাহদীন মালিক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি জনগণকে মানবাধিকারসহ গুম নির্যাতন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলার আহ্বান জানান। তা না হলে দেশ একটা অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে গেলে কেউ রুখতে পারবে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, জোতির্ময় বড়ুয়া, সাজ্জাদ হোসেন, নূর খান মিল্টন। নারী অধিকার কর্মী শিরিন হক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনি মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির বক্তব্য তুলে ধরেন।
এদিকে জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদের বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক প্রতিবেদনকে অবাস্তব বলে মন্তব্য করেন ড.শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে অবস্থা রয়েছে তাতে আমরা বিন্দুমাত্র আইনের সুরক্ষা পাচ্ছি না। হতাশার কথা দেশে এসব বিষয়ে কথা বললেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। তবে বিদেশে এনিয়ে কথা বলা শুরু হয়েছে। আইনে একজনের সুরক্ষার কথাতো সোয়াশ বছর অগেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কই এর বাস্তবায়নতো হচ্ছে না। আইনে সংবিধানে সব কিছু হচ্ছে। কিন্তু দেশে এব্যাপারে প্রতিকার পাচ্ছি না। কিন্তু দেশের বাইরে এই প্রথম একজন আইন মন্ত্রীকে ঠিকই জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে-এটাই এখন একটু ভরসা। দেশের কিছু হচ্ছে না। এখন বিদেশে যদি কিছু হয়। সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ।
তিনি বলেন, একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ওইসব দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। জনগণের গড় আয় আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মানবাধিকার ছিল না বলেই আজ ওইসব দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এদেশগুলি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হ্বার আগে নির্যাতন দিয়েই শুরু করেছিল। বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে জবাবহিতা না থাকার কারণে এমন পরিণতি হয়েছে। এটা হচ্ছে আসলে অকার্যকর রাষ্ট্রে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। উন্নয়ন একদম বাজে কথা। লিবিয়া, সিরিয়া-এদের গড় আয় আমাদের চেয়ে ত্রিশগুন বেশি ছিল। এখনতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যখন আইনশৃংখলা বাহিনী জবাবদিহিতার উর্ধ্বে উঠে যায় তখনই এমন হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ