প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
স্টাফ রিপোর্টার: গত ৩১ জুলাই দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় টাইগার আইটি’ নিউজের প্রতিবাদ জানিয়েছে টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব লিগাল সৈকত আহমেদ আল বারি স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্মার্টকার্ড মুদ্রণ সংক্রান্ত প্রকল্পে দুর্নীতির হদিস পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। তারা দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটিকে সাড়ে নয় বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানকে সাড়ে ছয় বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে।’ নিউজটিতে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে এবং টাইগার আইটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বিশ্বব্যাংকের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি আদালত ‘সকল যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময় একমাত্র বিশ্বব্যাংকই তদন্তকারী, অভিশংসক, বিচারক, নীতি-নির্ধারণকারী এবং দন্ড প্রদানকারী। পুরো মামলাটি আইডিইএমআইএ-নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সাজানো হয়েছে যার সাথে টাইগার আইটি ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আগে থেকেই বিরোধ রয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাংক অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট এবং অনিশ্চিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্ব ব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে থাকলেও, অসৎ উপায়ে লেনদেনের কোনো প্রকার অভিযোগ উত্থাপন করেনি। টাইগার আইটি বিভিন্ন তথ্য দিলেও কিছু তথ্য বৃহত্তর স্বার্থে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্যে সরকারি জাতীয় পরিচয়পত্রের মহামূল্যবান তথ্য সংগত কারণেই বিশ্বব্যাকের কাছে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই একটিমাত্র কারণেই টাইগার আইটিকে ‘ঙনংঃৎঁপঃরড়হ ঈষধঁংব’ এর আওতায় এনেছে বিশ্বব্যাংক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, টাইগার আইটি বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপিত সমস্ত অভিযোগকে দৃঢ়তার সাথে অস্বীকার করছে। টাইগার আইটি তার অবস্থান থেকে এই প্রত্যয় দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করে যে, তার জন্মলগ্ন থেকে সমস্ত কার্যক্রম শতভাগ আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে নিরলসভাবে ও সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসি ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর ভোটারদের স্মার্টকার্ড দেয়ার জন্য আইডিয়া (আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং অ্যাক্সেস টু সার্ভিসেস) প্রকল্প গ্রহণ করে। এর জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেয়া হয় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগে বলা হয়েছে, টাইগার আইটি ও এর চেয়ারম্যান বিশ্বব্যাংকের অনুদান ও ঋণনির্ভর কেনাকাটার নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন দরপত্রে অশুভ আঁতাত করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে।