শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কাশ্মীর যেন জলজ্যান্ত নরকে পরিণত

৮ আগস্ট, এনডিটিভি : দুনিয়ার স্বর্গ খ্যাত কাশ্মীর যেন এর বাসিন্দাদের কাছে পরিণত হয়েছে জলজ্যান্ত এক নরকে। স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে রাজ্যটিকে দুই টুকরো করে দিয়েছে ভারত। একে কেন্দ্র করে পুরো কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাট-বাজার, দোকান-পাট, স্কুল-কলেজ। মোবাইল সংযোগ এমনকি ডাকঘরও বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন শত শত মানুষ। বাসিন্দারা বলছেন, ভারত কাশ্মীর দখল করতে চায়; কিন্তু তারা এর বাসিন্দাদের চায় না। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সরেজমিনে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ সময় প্রায় অবরুদ্ধ কাশ্মীরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে কয়েকজনের কাছে তিনি চান, ‘সব কেমন চলছে? আপনারা কী ভাবছেন?’ 

রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্লেট হাতে খাবার খাচ্ছিলেন আর স্থানীয় কিছু লোকজনের কথা বলছিলেন অজিত দোভাল। তিনি বলেন, সবার শান্তিতে থাকা উচিত। আপনাদের নিরাপত্তা এবং ভাল রাখাই আমাদের চিন্তা। আমরা আপনাদের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য চিন্তা করছি। তবে যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলছিলেন, সেখানকার দোকানপাট বন্ধ। এলাকায় কোনও রকম জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকার ক্ষমতায় এতোটাই নিমজ্জিত যে তারা আমাদের মানুষ মনে করছে না। তাদেরকে এই সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হবে না, আমাদেরকেই তা ভোগ করতে হবে।

দক্ষিণ কাশ্মীরের ল্যাঙ্গেট কলেজের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ উনওয়ানি বলেন, কাশ্মীর রাজনীতির বারুদের এক আগ্নেয়গিরি। তারা ওমর ও মুফতিকে জেলে পাঠিয়েছে। তারা আমাদের এমএলএ ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে গ্রেফতারের পরিকল্পনা করছে, যে ব্যক্তি আমাদের ইট-পাটকেল ছোড়া থেকে বিরত থাকতে বলতেন। আর এখন এই সিদ্ধান্ত। তারা জ্বলন্ত আগুনে বারুদ ঢেলে দিলো। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের মধ্যেও উদ্বেগের ছায়া। একজন কনস্টেবল বলেন, আমি সরকারি কর্মচারি। সরকারের নির্দেশ পালন করি। কিন্তু আমার ছেলের কাছে এর কী ব্যাখ্যা দেবো? তাকে কীভাবে বুঝাবো যে, ভারত রাষ্ট্র তার সম্পর্কে কী ভাবছে এবং কেন তার ইট-পাটকেল ছোড়ায় যুক্ত হওয়া উচিত না। তরুণরা বলাবলি শুরু করছে, যখন মৃত্যু আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে তখন স্কুলে গিয়ে কী হবে?

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ