শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কিশোরগঞ্জে চলন্তবাসে নার্স তানিয়া ধর্ষণ-হত্যা ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

 

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জে চলন্তবাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে পুলিশ জানান, তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার ও তিনজন পলাতক রয়েছে। আসামীরা হলেন-বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া উরফে ল্যাংরা বকুল, বাস মালিক মো. আল মামুন, বোরহান এবং স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল।

এদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। চার্জশীটে ধর্ষণ ও হত্যায় বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া এবং বাসচালকের খালাতো ভাই বোরহান সরাসরি জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আসামীরা ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে হত্যায় জড়িত ছিল।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ সাংবাদিকদের জানান, আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছি। কোন আসামী এ মামলা থেকে পার পাবেনা। আমরা এ মামলাটির ব্যাপারে দ্রুত সকল কার্যক্রম গ্রহণ করছি। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তার করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী ‘স্বর্ণলতা’ নামক বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে। তানিয়া ইবনে সিনা হাসপাতালের কল্যাণপুর ক্যাম্পাসে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে গত ৭ মে তানিয়ার বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ