কারামুক্ত ব্যারিষ্টার মইনুল
স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ( কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্তি পান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী। এর আগে দুপুরেই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় মইনুল হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরে ব্যারিস্টার মইনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় সে বছরের ২১ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে মানহানির এ মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। এরপর ২২ অক্টোবর আদালত ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিন রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই সময় মাসুদা ভাট্টির মামলাসহ একই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা হয়। এসব মামলায় ৩ মাস ৬ দিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালতে গিয়ে তিনি জামিন লাভ করেন এবং মুক্তি পান। তখন আদালত তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সে অনুযায়ী চলতি বছর ১২ মে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিয়মিত জামিন পান। হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে গত ২১ আগষ্ট আপলি বিভাগ ২ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। সে অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত ওই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল রোববার মইনুলের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান। শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলার সব ধারা জামিনযোগ্য। ব্যারিস্টার মইনুলের বয়স আশি বছর। তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে জামিন দেওয়া হোক।