বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে চায় সরকার --বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়া থেকে সরকার সরকার সরে আসতে চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) হয়তো ভর্তুকি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে। তারা নিজেরা সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ঠিক করবে মূল্য বাড়াবে না ভর্তুকি দেবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রালয়ের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের মূল্য প্রস্তাব জমা পড়েছে বিইআরসি’তে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে মূল্য বাড়াতে গণশুনানির দিন নির্ধারণ করে কমিশন। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র না আসা পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে পিডিবির লোকসান হবেই।’ তিনি বলেন, ‘জানুয়ারী থেকে উৎপাদনে আসছে পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই ধারাবাহিকতায় রামপাল, মাতারবাড়িসহ অন্য বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলে কমে যাবে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসবে।’
অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পিডিবি। কমিশনকে চিঠি দিয়ে পিডিবি জানায়, ২০২০ সালে পিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রি করে আয় হতে পারে ৩৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই সময় প্রয়োজন হবে ৪৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। ফলে বাকি আট হাজার ৬০৮ কোটি টাকা তাদের ঘাটতি হবে। সেই টাকা সমন্বয়ের জন্য কমিশনকে জানিয়েছে। এখন কমিশন মূল্য বাড়াবে নাকি ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলবে, সেটা কমিশনেই ঠিক করবে বলে পিডিবি জানায়। পাইকারি বিদ্যুতের পাশাপাশি তারা গ্রাহকপর্যায়ে মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। একইভাবে প্রস্তাব দিয়েছে অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোও। পাইকারি পর্যায়ের মূল্য বাড়ালে যে হারে পাইকারি মূল্য বাড়বে, সেই হারে কোম্পানিগুলোর বিদ্যুতের খুচরা মূল্য বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের বিচেনার অনুরোধ জানিয়েছে কোম্পানিগুলো।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ইউনিট প্রতি ৩৫ পয়সা বাড়ানো হয়। ওই সময় পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়নি। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে পাইকারি বিদ্যুতের মূল্য ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়।