বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নূর হোসেনকে কটাক্ষ করার পর ‘সরি’ বললে কাজে আসবে না -ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ‘৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী নূর হোসেনকে কটাক্ষ করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। কেউ বিষাক্ত কটূক্তি করে সীমা লঙ্ঘন করবেন না। একবার মুখ ফসকে গেলে যতই ‘সরি’ বলুন, কাজে আসবে না।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মো. মোবাশ্বের চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সম্মেলন উদ্বোধন করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নূর হোসেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা কারা করেছিল, সেটা জাতি জানে। সেই নূর হোসেনকে অশ্রাব্য ভাষায় কটাক্ষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদালতে অক্সিজেন নিয়ে যারা রাজনীতিতে অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে, তারা আজ নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) কটাক্ষ করে। কথা মুখ থেকে একবার ফসকে গেলে মুখে আর ফিরে আসে না, যত ‘সরি’ বলুন না কেন। এ ধরনের মন্তব্য, কটাক্ষ আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বহু বছর ধরে এদেশের জনপ্রিয় নেতা। এদেশের গণতন্ত্র বিকাশের অগ্রদূত। এদেশের মানুষ তাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। তাকে কটাক্ষ করলে বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না।’
এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ‘৭৫-এ জাতির পিতার খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করছিল। তাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোতে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারা বোমা হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। বারবার তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এখনও বলা হয়, ‘মুজিব গেছে যেই পথে, হাসিনা যাবে সেই পথে।’ এই রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য বিএনপি দিয়ে যাচ্ছে। আমি বলে দিতে চাই, আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি, আর নয়।”
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, ৩ নভেম্বরের জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচার এবং ‘৭১-এর রাজাকারদের বিচার সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন বলে এসময় মন্তব্য করেন কাদের।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের নিয়ম তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে যে কজনের নামই আসুক না কেন, সমঝোতার মাধ্যমে একজনের করে নাম আমাদের দিতে হবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই মেনে নিতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ