ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে আরেকটি নতুন দেশ!

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: তামা ও সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনি।এটি মূলত: একটি দ্বীপপুঞ্জ ও ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।এই পাপুয়া নিউগিনিরই একটি প্রদেশ ছিল বুগেনভিলে।লোক সংখ্যা মাত্র দুই লাখ সাত হাজার। আজ শনিবার দ্বীপটি বিশ্বের ১৯৬তম স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা তুলতে যাচ্ছে।স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে।স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়লে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ ঘটবে নতুন আরেকটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। যা হবে বিশ্বের ১৯৬তম স্বাধীন রাষ্ট্র।

৭ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফার ভোট। ডিসেম্বরের শেষদিকে জানা যাবে ফলাফল।

অধিকতর স্বায়ত্তশাসন না স্বাধীনতা, এ দিনের ভোটে সেই সিদ্ধান্তই নেবে ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জটির বাসিন্দারা।তবে তাদের চেয়ে বিদেশী পরাশক্তিগুলোর আগ্রহ কোন অংশে কম নয়। দ্বীপপুঞ্জটির স্বাধীনতার প্রশ্নে এ গণভোট আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও অর্থায়ন করেছে।কারণ, দেশটি ছোট হলেও এর সোনার খনি বিশাল।এছাড়াও এটি তামাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ।দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে  তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও কিরিবাতির পাশাপাশি সম্প্রতি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বুগেনভিলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হয়েছে বেইজিংও।

তিন-চতুর্থাংশ ভোটই স্বাধীনতার পক্ষে পড়বে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হবে না। এটি আদতে চিহ্নিত হতে পারে বুগেনভিলের স্বাধীনতার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে।

তামা ও সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জটি আলাদা হয়ে গেলে অন্যান্য প্রদেশও অধিকতর স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা চাইতে পারে- এই ভয়ে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি। 

১৮শ’ শতকে ফরাসি এক অনুসন্ধানকারী দ্বীপপুঞ্জটির খোঁজ পান; ১৯ শতকের শেষভাগে এটি পরিণত হয় জার্মান উপনিবেশে, নাম পায় জার্মা নিউগিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া এর দখল নেয়; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন কিছু সময় জাপানের হাতে থাকলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মূলত অস্ট্রেলীয়রাই ছিল ‘বুগেনভিলের’ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার সময় এ দ্বীপপুঞ্জটি সব সময়ই সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জার্মানরা তাদের শাসন শুরুর ২১ বছর পর ১৯০৫ সালে প্রথম বুগেনভিলে প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।

সূত্র: বিবিসি

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ