শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কুমিল্লায় পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দেড়কোটি টাকার চেক আদায়ের অভিযোগে মামলা

কুমিল্লা অফিস : থানায় ডেকে নিয়ে দেড়কোটি টাকার চেক নেয়ার অভিযোগ কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নগরীর মনোহরপুর এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মো. মহিউদ্দিন বাদী হয়ে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় নগরীর মনোহরপুর এলাকার মৃত রতন মিয়ার ছেলে মো. মাহাবুব আলমকে ২নং আসামী করা হয়। আদালতের বিচারক জালাল উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সালাউদ্দিন মাহমুদ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মহিউদ্দিনের জমি বন্ধক রেখে তার চাচাতো ভাই মামলার ২নং আসামী মাহাবুব আলম ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। ওই ঋণ সময়মত পরিশোধ করতে না পারায় মাহাবুবের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে মাহাবুব ও মহিউদ্দিনের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। অভিযোগে বলা হয়, ‘পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন এবং আসামী মাহাবুব আলম যোগসাজসে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে গত ৩ আগস্ট রাতে পুলিশ পাঠিয়ে মহিউদ্দিনকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ পরিদর্শক সালাহউদ্দিনের রুমে মহিউদ্দিনকে আটকে রাখে এবং তার ভাইয়ের মাধ্যমে বাড়ি থেকে চেক বই নিয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক লিখিয়ে নেন।’ মামলার বাদী মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘থানায় তুলে নিয়ে দেড়কোটি টাকার চেক মাহাবুবের (২নং আসামী) জন্য আদায় করতে পুলিশ পরিদর্শক সালাহউদ্দিন আমাকে হুমকি দিয়েছিল, তাই আমি বাধ্য হয়ে চেক লিখে দিয়েছিলাম। এখন আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ‘ব্যাংক ঋণ, টাকা লেনদেন ও চেক দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি মহিউদ্দিন ও তার চাচাতো ভাই মাহাবুবের মধ্যে হয়েছে। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে এনে সমঝোতা করা হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে কি হয়েছে জানি না। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। এছাড়া আমি এখনো আদালত থেকে মামলার কোন কাগজপত্র পাইনি।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জালাল উদ্দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য পিবিআই-কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ