শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজনৈতিক সংকটে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত

হাফেজ মতিউর রহমান : দেশের অর্থনীতির গতিপ্রবাহ যখন একটু ভালোর দিকে ঠিক তখনই দেশে বিরাজ করছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। অর্থনীতির আগের অবস্থা থেকে যখন বের হয়ে তার স্বাভাবিকতা ফিরে পাচ্ছিল তখনই রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা বিনষ্ট হওয়ায় তার কুপ্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে দেখা গেছে। এতে শক্তিশালী হয়ে ওঠা সূচকগুলো আবারও নীচের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন চোখে পড়লেও এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে ইউরো জোনের চলমান ঋণ সংকট, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রফতানি আয়ে নেতিবাচক ধারা, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ, মূল্যস্ফীতি ও নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার বিষয়ে অনিশ্চয়তা। এরই মধ্যে অর্থনীতির বেশ কিছু সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটলেও এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আগামী দিনের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে ব্যাপারে নিশ্চুপ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এখনও আমাদের আড়াই কোটি মানুষ চরম দারিদ্রে্য ভুগছে যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। একইভাবে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেয়াটাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু মুদ্রানীতির বেশ কিছূ কৌশল অবলম্বন করেছে। আগামী অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ যাতে রাখা যায় সে ব্যাপারে মুদ্রানীতি এবং বাজেটে একটা সম্পূরক ধারা বজায় রাখছে।

দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদিও অর্থনীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক গোলযোগ আমলে নিচ্ছেন না কিন্তু দেশের অর্থনীতিবিদগণ মনে করছেন, অর্থনীতিতে গতিশীলতা পেতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই।চলতি অর্থবছরে জিডিপি এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা কোন মতেই বাস্তবায়ন হবে না। একদিকে রফতানি আয়ে ভাটা অপরদিকে বৈদেশিক সহায়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। যা প্রবৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক নয়। ইতিমধ্যেই ইউরো জোনে মন্দাবস্থা শুরু হয়ে গেছে। তার প্রভাব এখন দেশেও পড়ছে।

ইউরোজোনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের রফতানি আয় কমতে শুরু করেছে। রফতানির অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। একইভাবে আমেরিকার অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা না লাগলেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি অর্জিত হবে না। একইভাবে মূল্যস্ফীতির হারও গড়ে ১০ শতাংশের নিচে আসবে না। আর যদি রাজনৈতিক অবস্থা বেশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব পুরো দেশের ওপর অর্থনীতির ঝড় শুরু হবে। বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রভাব সরাসরি পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের মোট রফতানির ৫১ শতাংশ যায় ইউরোপে এবং ২২ শতাংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে।

২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ। আর চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। একইভাবে উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে শিল্প স্থাপনের পুঁজি যন্ত্রপাতি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে। এমনকি এই দুই ধরনের পণ্য আমদানিতে উদ্যোক্তারা নতুন করে ঋণপত্রও খুলছেন না। তাই এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে মনে করছে আইএমএফ। আগের অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্বল রফতানি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগে শ্লথগতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এবার তা সাড়ে ৫ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মেয়াদি শিল্পঋণপ্রবাহে শ্লথগতি, বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হ্রাসের মধ্য দিয়ে শিল্প খাতের মন্দাবস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে। ভৌত অবকাঠামোগত সমস্যা, জ্বালানি-বিদ্যুতের অব্যাহত সংকট এবং উচ্চ হারে সুদের কারণে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও চাহিদা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সংগঠনটি উচ্চ হারে মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির সমস্যাগুলো সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও সারের দাম বাড়ার পাশাপাশি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু রাখতে সরকারকে অতিরিক্ত জ্বালানি আমদানি করতে হয়েছে। ফলে এ খাতে সরকারের ভর্তুকি কয়েকগুণ বেড়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। ভর্তুকির চাপ সামলাতে অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। শেষে সরকারের ব্যাংক ঋণের সীমা বাজেটে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া চলতি বাজেটে ভর্তুকির চাপ কমাতে বাড়তি ভর্তুকির প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আগামী বাজেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণসহ বাজেটে প্রাক্কলিত বেশ কিছু বড় প্রকল্পে প্রত্যাশিত বৈদেশিক সহায়তা না পাওয়ায় ব্যালেন্স অব পেমেন্ট চাপে পড়েছে। এরই মধ্যে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ সামলাতে আর্থিক খাতে সংস্কারের শর্তে আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। বর্তমান সময়ে ইউরো জোনের চলমান ঋণ সংকটের বিরূপ প্রভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আশংকাজনক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এর ফলে দেশে রফতানির প্রত্যাশা বিঘ্নিত হতে পারে, ইউরোপীয় দেশগুলো হতে প্রবাসীদের অর্জিত রেমিটেন্স ও বিনিয়োগ প্রবাহ কমে যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আশংকা এ সমস্যার কারণে ইউরো জোনের বাইরে অন্য দেশগুলোর দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সেই দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য ও জনশক্তি রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। রফতানির তুলনায় আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিকে অর্থনীতির ২য় চ্যালেঞ্জ ধরা হয়।  বিশ্ববাজারে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি, রফতানি-সহযোগী আমদানি পণ্যের দাম বাড়ায় এবং ব্যাপকভাবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য সামগ্রিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। আমদানি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ এখন অতি আবশ্যক হয়ে দেখা দিয়েছে। জুলাই-মার্চ ২০১০-১১-এর তুলনায় আমদানি ব্যয় অর্থবছর ২০১১-১২-এর জুলাই-মার্চ সময়ে ১১.২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য সময়ে পেট্রোলিয়ামের আমদানি মূল্য ৭৫.৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্চের পর একক মাস হিসেবে এপ্রিল মাসেও রফতানি আয় কমেছে। এপ্রিলে গত বছরের একই মাসের তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ৭ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ একক মাসের ব্যবধানে রফতানি কমেছে ১০ কোটি ডলার। একই সঙ্গে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ সময় রফতানি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মাত্র দু'মাস বাকি থাকলেও রফতানি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির পরিবর্তে নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। এর ফলে চলতি বছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে মনে করছে দেশের অর্থনীতিবিদগণ। জুলাই-এপ্রিল সময়ে রফতানি আয় পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৭৭৭.০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। ২০১০-১১ অর্থবছরে রফতানি আয় পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৪১.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে অর্থনীতির চতুর্থ চ্যালেঞ্জ ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সরকারি খাতে বৈদেশিক সহায়তা কমে যাওয়ার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে। এর ফলে টাকার বাজারে সুদহার কিছুটা বেড়ে গেছে।  প্রত্যাশিত বৈদেশিক সহায়তা না পাওয়ার কারণে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারেও অবচয় ঘটে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় পাইপলাইনে অর্থাৎ অব্যবহূত সাহায্যের পরিমাণ ছিল ৮৩৫ কোটি ২০ লাখ ডলার, আর এখন তা এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এ কারণে দাতারা প্রতিশ্রুত সাহায্য ছাড় করছে না। বৈদেশিক সাহায্য না পেয়ে অভ্যন্তর থেকে ঋণ নিয়ে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। ফলে বেড়ে যাচ্ছে মূল্যস্ফীতির গতিধারা। সরকারের ব্যাংক ঋণকে চতুর্থ চ্যালেঞ্জ ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকারি খাতে বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসের কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ চাহিদা বাড়ায় টাকার বাজারে সুদহার খানিকটা ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যে প্রতিকূলতা বেড়ে টাকার বিনিময় হারেও অবচয় ঘটেছে। এসব প্রতিকূলতা কাটাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ, ঋণ ও সাহায্যের আন্তঃ প্রবাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকার মোট ১৬ হাজার ৬৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ঋণ করেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৮২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর তফসিলী ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া হয়েছে ১৩ হাজার ৮৪৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পাঁচ মাস আগে এ চিত্রটা ছিল উল্টো। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ১১ হাজার কোটি টাকাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এপ্রিলে সরকার ব্যাংক ঋণ গ্রহণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আগের লক্ষ্যমাত্রার ১৮ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে সংশোধিত বাজেটে তা ২৭ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। অর্থবছর শুরুর ছয় মাসের মাথায় অর্থাৎ ডিসেম্বর শেষে সরকারের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২২ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকে। গত অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল সরকার। যা মূল বাজেটের চেয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ও সংশোধিত বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দুই হাজার কোটি টাকা বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিকর মাত্রায় রয়েছে। তবে এশিয়ার কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি এখনও কম। তবে আশার কথা, মূল্যস্ফীতির হার ধীরে হলেও নিম্নমুখী হচ্ছে। গত বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ মার্চ মাসের হিসাবে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে থাকবে বলে আশংকা করছেন খোদ অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কিছু বেশি হবে; তবে নতুন বাজেটে আমাদের লক্ষ্য থাকবে এটিকে এক অংকের ঘরে নামিয়ে আনা। চলতি এপ্রিল মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফিতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অন্যদিকে গত এক বছরের একই সময়ের তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত এক বছরে (মে ২০১১-এপ্রিল ১২) এর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে এর হার ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সঙ্গে, এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টিকে অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনও আমাদের আড়াই কোটি মানুষ চরম দারিদ্রে্য ভুগছে যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেয়াটাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থ, বুদ্ধি ও প্রযুক্তি দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ