শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আড়াই হাজার হজ্জ গমনেচ্ছু এখনও ভিসা পাননি

স্টাফ রিপোর্টার : টাকা জমা দেয়ার পরও হজ্জে যেতে ইচ্ছুক আড়াই হাজার ব্যক্তি এখনও ভিসা (পিলগ্রিম পাস) পাননি। হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা বলছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিয়েও তারা ভিসা পাচ্ছেন না। হাবের হিসাব অনুযায়ী, এবার এ পর্যন্ত ভিসা পেয়েছেন এক লাখ ৯ হাজার ৯৫৭ জন। বাকি প্রায় ২ হাজার ৪৪০ জন এখনও ভিসা পাননি। সরকারি হিসাবে এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ১৩ হাজার জনের হজ্জে যাওয়ার কথা। চলতি মওসুমে সাড়ে ৫৬ হাজার হজ্জযাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানের হজ্জ ফ্লাইট শুরু হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, সৌদী এয়ারলাইন্স ও নাস এয়ারে উড়োজাহাজে ৭০ হাজারের বেশি হজ্জযাত্রী দেশ ছেড়েছেন। আড়াই হাজার হজ্জযাত্রী প্রত্যাশী যারা ভিসা পাননি, তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে হজ্জ কর্মকর্তা বজলুল হক বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, যাদের ভিসার কাগজপত্র হজ্জ অফিসে দেয়া হয়েছে তারা সবাই বদলি হিসেবে হজ্জে যেতে আবেদন করেছেন। আর এ ধরনের বদলি ব্যক্তিদের হজ্জে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। কোনো ব্যক্তি যদি সত্যিকারভাবে অসুস্থতার কারণে বদলি হিসেবে কাউকে পাঠান সেক্ষেত্রে সঠিক মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ কাগজপত্র হজ্জ অফিসে জমা দিতে হয়। তবেই তাকে ভিসার জন্য মনোনীত করা হবে।

মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়ার পরেও হজ্জ অফিসের ছাড়পত্র না দেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের সার্টিফিকেট যোগাড় করা দু'এক মিনিটের ব্যাপার। তাই জেনুইন কেস ছাড়া কাউকে ছাড়পত্র দেয়া হবে না। তাছাড়া গত ২ জুলাই ছিল টাকা জমা দেয়ার শেষ দিন। এত পরে এসে হজ্জের জন্য ছাড়পত্র দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

হজ্জ কর্মকর্তার বক্তব্য প্রসঙ্গে হাবের সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কয় মিনিটে এই মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়া যায় তা আমাদের জানা নেই। আমরা আসল সার্টিফিকেটই জমা দিয়েছি। সেই সার্টিফিকেট সত্য কি মিথ্যা তা যাচাই না করেই হজ্জ কর্মমর্তা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার হজ্জ এজেন্সিসমূহ হজ্জ অফিসে গিয়ে হজ্জ কর্মকর্তাকে পাননি। এ কারণে হজ্জ সংক্রান্ত কাজ তারা করতে পারেননি।

জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টির সুরাহা করতে তারা মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। মন্ত্রী সমস্যার সমাধান দেয়ার কথাও বলেছেন।

প্রসঙ্গত, এবার বিমান ছাড়াও সৌদী এয়ারলাইন্সে ৪০ হাজার ২৮৪ জন এবং নাস এয়ারে ১৬ হাজার হজ্জযাত্রী পরিবহনের কথা রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ