বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চুক্তি করে মঈনুদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে -আইনমন্ত্রী

বার্তা২৪ ডটনেট : প্রয়োজনে বৃটেনের সাথে বন্দিবিনিময় চুক্তি করে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। শনিবার হোটেল রেডিসনে ইউএনডিপির সহযোগিতায় আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাস্টিস সেক্টর ফ্যাসিলিটি' কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, চৌধুরী মঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আদালত নোটিশ দেয়ার পর যদি সে হাজির না হয়  তাহলে তার অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় খরচে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে বিচার কার্যক্রম চলবে। বিচার শেষে যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে আমরা বৃটেনের সাথে প্রয়োজনে বন্দিবিনিময় চুক্তি করে তাকে দেশে আনার ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো বৃটেন এ ধরনের আসামিদের পালিয়ে থাকতে কোনো সাহায্য করবে না। দেশে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিরপেক্ষভাবে করা হচ্ছে দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর মধ্যে যত আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে বা হচ্ছে, তার মধ্যে আমাদের দেশের বিচারকাজ সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষ বেশি সময় পাচ্ছেন। সাফাই সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এমনকি প্রসিকিউশনে সাক্ষীদের অধিক সময় ধরে জেরা করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের এ প্রতিবেদন তথ্যভিত্তিক নয়, এটা তাদের মনগড়া বক্তব্য। তিনি বলেন, আমার মনে হয় তারা জামায়াতের টাকা খেয়ে এসব করেছে। জামায়াতের মীর কাশেম আলী ও অন্যদের নিয়োগ করা লবিস্টরা এসব মন্তব্য করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, মামলার রায় দ্রুত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা যাতে অল্প সময় বিচার পান, বিশেষ করে নারীদের বিচার পেতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়েছে। দরিদ্রদের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। ফৌজদারী আইন সংশোধন হলে কারাগারে আটকসংখ্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে জানান তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ