সংসদের বর্তমান অধিবেশনেই ইসলাম ধ্বংসের নীতিসমূহ বাতিল করুন

সারাদেশের বিশিষ্ট ৫০ সহস্রাধিক উলামায়ে কেরাম এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের বর্তমান অধিবেশনেই ইসলামবিরোধী নীতিমালাসমূহ বাতিল করে ঈমানদার ও তৌহিদী জনতাকে শান্ত করার উদাত্ত আহ্বান জানান।

গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি ৪ সিটি কর্পোরশনে আপনার জোটের নিকৃষ্টতম ভরাডুবির কারণ খুঁজে বের করার জন্য আপনার নেতাকর্মী ও মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। আমরা আপনাকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি ৪ সিটি কর্পোরশনে আপনার জোটের ক্ষমতাধর বাঘা বাঘা প্রার্থীর ভরাডুবির কারণ আপনি অবশ্যই অনুধাবন করতে পেরেছেন। ৯২ ভাগ মুসলমানের এদেশে মহান আল্লাহ তায়ালা, মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গ কুৎসা করে, ইসলাম নির্মূলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে এবং আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের নির্যাতন ও হয়রানি করে কোন দিন কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না ইনশাআল্লাহ।

তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাস্তিক মুরতাদ ও ইসলামের চিরদুশমনরা ইসলাম ধ্বংসের জন্য চতুরমুখী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশের সংবিধান থেকে মহান আল্লাহ তায়ালার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস মুছে দিয়ে জাতিকে বেঈমান বানানোর আইন পাস করা হয়েছে। ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সকল ধর্মের মানুষকে নাস্তিক বানানোর আয়োজন করা হয়েছে। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী নারীর প্রতি অবমাননাকর নারী নীতি অনুমোদন দিয়ে সরাসরি মহান আল্লাহ রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বোরকা হিজাব ও শরঈ বিধি-বিধানের উপহাসকারীদের বার বার আস্কারা দেয়া হচ্ছে। আল্লাহ, মহানবী (সা.) ও ইসলামের কটূক্তিকারী শাহাবাগী নাস্তিক ব্লগারদের পৃষ্ঠপোষকতা করে মাসের পর মাস আপনার মন্ত্রী এমপি ও প্রশাসন যন্ত্রের মাধ্যমে তাদেরকে নিñিদ্র পাহারা দিয়ে দেশকে মহাগজবের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে আল্লাহ ও রাসূল প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫ মে শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন এদেশের লাখ লাখ আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, হাফেজ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। গভীর রাতে উক্ত ক্লান্ত, শ্রান্ত, ইবাদত ও জিকিররত উলামা হেফাজতকর্মী ও তৌহিদী জনতার উপর পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সাদা পোশাকে অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় যে বর্বর গণহত্যা চালানো হয়েছে, পবিত্র কুরআন মজীদে ও বায়তুল মোকাররমের দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে এর সঠিক তদন্ত ও বিচার কি আপনার সরকার করবে না?

উলামাগণ বলেন, ইসলামী বিধি-বিধান ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও উলামা মাশায়েখ হত্যার নীল-নকশা পরিহার করুন। সরকারি দল বিরোধী দল সকলেই মিলে আমাদের ঈমানী আন্দোলনে একাত্মা প্রকাশ করুন এবং সংসদের বর্তমান অধিবেশনেই ইসলাম বিরোধী নীতিসমূহ বাতিল করুন।

তারা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আলেম-উলামা তৌহিদী জনতা নীরবভাবে ৪ সিটি নির্বাচনে নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষ অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছে। তাই সময় থাকতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এদেশে জনগণ ও ঈমানদারদের মনের ভাষা অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। নচেত এদেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ঈমানী ও নৈতিক অধিকার আদায় করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন শাইখ মাওলানা ইসমাঈল হোসাইন, মুফতি আবুল হাসান কাসেম কাসেমী, মুফতি কাজী মুতাসিম বিল্লাহ আল ফিরোজী, মুফতি জালালুদ্দিন কাদেরী, পীরে কামেল আল্লামা মোশতাক ফয়েজী, শাইখ আবদুল মোমেন নাসেরী, মুফতি নুরুন্নবী আল ইসলাহী, হাফেজ মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শাহ জালাল শরীফ, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ রফীকুর রহমান, ড.মুফতি নিজামুদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, খাজা শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ ছালেহ উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাসেত, মাওলানা মুহাম্মদ জুনায়েদ হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ তোজাম্মেল হক, মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ মাসুদ আলম, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান, মাওলানা মুহাম্মদ কাউছার হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, মুফাচ্ছিরে কুরআন মাওলানা লুৎফর রহমান, মুফতি মিজানুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ মুয়াজ্জেম হুসাইন, মাওলানা আবু মুহাম্মদ বজলুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ সাঈদুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ ছালমান, মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ মহিব্বুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ফজলুল করিম, মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ মুবারক হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ জাফর আহমাদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজুল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, অধ্যক্ষ মওলানা মোশাররফ হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক, অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনূস আহমদ, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল জব্বার, প্রফেসর ড. মুফতি মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী, মুফতি ড. সিকান্দার আলী মাদানী, মুফতি ড. তরিকুল ইসলাম মাদানী, ড. মুফতি নিজামুদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, মাওলানা মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহাম্মদ রেজানুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার, মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ যাকির হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান মিঞা, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ পাটোয়ারী, মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফসিহুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ বশীর আহমাদ, মাওলানা মুহাম্মদ যাকারিয়া, মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ তারিক নাসরুল¬াহ, মাওলানা মুহাম্মদ তোয়াহা, মাওলানা মুহাম্মদ আহমাদুল¬াহ, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, ড. মুফতি আবু ইউসুফ, মুফতি মানজুর-এ-ইলাহী আল-মাদানী, প্রফেসর মুফতি ড. আবুল কালাম আযাদ আল মাদানী (লন্ডন), ড. মুফতি মাওলানা আবদুস সালাম মাদানী, মুফতি মাওলানা কুতুব উদ্দীন, হাফেজ মুফতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা কাজী জাফর, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ রফীকুর রহমান, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ ছালেহ আহমাদ, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবু নোমান মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ শফীকুর রহমান প্রমুখ।