সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কেশবপুরে সাগরদাড়ি সড়কের বেহালদশা ॥ জনদুর্ভোগ

কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা : কেশবপুর পৌর এলাকার সাগরদাঁড়ি সড়কটি পুনঃসংস্কার না হওয়ায় অসংখ্য খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়ে বর্তমান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ফলে মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত গর্তের মধ্যে আটকে গিয়ে সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। গত ২ মাস ধরে এ অবস্থায় চলতে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
কেশবপুর শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পৈতৃক ভিটা সাগরদাঁড়ি অবস্থিত। মহাকবির নামেই এ সড়কের নামকরণ করা হয় মধু সড়ক।
এ সড়কের সাথে পুলের হাট ভায়া সাতক্ষীরা সড়কের সংযোগ স্থাপন হওয়ায় বর্তমান ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়েছে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে পর্যটকদের আগমন ঘটে থাকে বলেও সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ।
যার কারণে গত ২ বছর ধরে সড়কটির দু’পাশ প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। গত ২ মাস আগের বন্যায় এ সড়কের কেশবপুর শহরের মাইকেল গেট থেকে গণসাহায্য সংস্থার অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে যায়।
এ সময় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তাটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় বর্তমান ভারী যানবাহন চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত গর্তের মধ্যে আটকে যাচ্ছে।
এ সময় সীমাহীন যানজটের কারণে শিশু শিক্ষার্থী, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী, হাটুরে, পথচারীসহ জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ মুহূর্তে সড়কটির গর্ত ইট দিয়ে ভরাট না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
গরু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন জানান, কেশবপুর কলেজের পিছনে এ সড়কের গা ঘেষে গড়ে উঠেছে শহরের একমাত্র পশুহাট। এখানে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে। এ সময় রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ ভাবে আলমসাধু, ভটভটি রাখার কারণে ঘণ্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। মাঝে মধ্যে গরুবাহী ভটভটি গর্তের ভেতর উল্টে গিয়ে আহত হচ্ছে।
বিষয়টি পৌর কর্র্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যত তা কোনো কাজে আসছে না।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু ওই সড়ক নয় বন্যায় পৌর এলাকার যে সমস্ত সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল তা সবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অচিরেই সড়কগুলো মেরামত করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ