সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রূপসা পাড়ে বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক হচ্ছে

খুলনা : রূপসা বঙ্গবন্ধু ইকো পার্কের জন্য সংরক্ষিত এলাকা

খুলনা অফিস : খুলনাবাসীর বিনোদনের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে রূপসা সেতু থেকে সামান্য দূরে রূপসা নদীর কোলঘেঁষে ‘বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আনুমানিক ২০ একরেরও বেশি পরিমাণ খাস জমিতে নির্মিত হবে এই পার্ক। জানুয়ারির শুরুতে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ২০১৮ সালের শুরুতেই পার্কটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের ১২ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটার উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শহরের কোলাহল ছেড়ে রূপসা নদীর কোল ঘেঁষে চলা সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য নির্মিত হবে এই পার্ক। এ জন্য আনুমানিক ২০ একরেরও বেশী পরিমাণ খাস জমিতে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই স্থানের মাটি কেটে বাগান করা হবে। যাতে আগতরা নির্বিঘেœ চিত্ত বিনোদন উপভোগ করতে পারেন। ইকো পার্ক নামকরণের কারণে এখানে আর্টিফিসিয়াল কোন কিছু নির্মাণের পরিকল্পনা নেই জেলা প্রশাসনের। তবে এখানে ছোট ছোট পুকুর থাকবে। পার্কে চলাফেরার জন্য ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। নদী থাকবে, বাগান থাকবে, পুকুর থাকবে, পাশে নদী-রেল লাইন এমনভাবে তৈরি হবে খুলনার বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক। জেলা প্রশাসনের ১২ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি প্রথমে নির্ধারিত স্থানে সরকারের খাসজমির পরিমাণ সনাক্ত করবেন। পরে নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয়, অর্থায়নের উৎস, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করবে। ইকো পার্কের জন্য নির্ধারিত খাস জমি যাতে বেদখল না হয় সেজন্য আগে ভাগেই সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য খুলনা জেলা প্রশাসক গত রোববার পার্কটির নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় বটিয়াঘাটার ইউএনও মু. বিল্লাল হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ল্যান্ড) সহ ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সাথে ছিলেন। পরিদর্শনকালে তিনি পার্ক এলাকার আশপাশে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জে নির্মিত ইকো ট্যুরিজমের আদলে খুলনায় নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক। জেলা প্রশাসনের নিজ উদ্যোগে খুলনার মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য রূপসা সেতুর খুব কাছে ও খুলনা-মংলা রেললাইনের পাশে পার্কের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে অর্থায়নে জেলা পরিষদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
তাছাড়া জেলা প্রশাসনের জন্য বরাদ্দকৃত নানা তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে। মুন্সিগঞ্জের পার্কটিও ছোট ছোট বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে এটিও নির্মাণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কে বসে রূপসা সেতু দেখা যাবে। শহরের কোলাহল ছেড়ে, মানুষ যখন নিরিবিলি অবসর সময় কাটাবে। খোলা আকাশের নিচে, সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে, রেল লাইন ও নদীর পাশে বসে। তখন প্রকৃত প্রেমীরা নিশচয়ই দারুণভাবে তা উপভোগ করবেন। পার্কে আগতরা আনন্দ পাবেন এটা নিশ্চিত। গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে নির্মিতব্য ইকো পার্কের স্থান পরিদর্শন করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ