বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

বিএনপি নাসিক নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে -হানিফ

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু কোন চক্রান্তই কাজ হবে না।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানের সামনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহ-সভাপতি হুমায়ুন করিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা আখতার হোসেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নাসিক নির্বাচন শুরুই হয়নি। এর মধ্যেই নির্বাচনের প্লেয়িং ফিল্ড নেই, প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করছে- বিএনপি এমন অভিযোগ করতে শুরু করেছে।
হানিফ বলেন, বিএনপি এখন নাসিক নির্বাচন নিয়ে চক্রান্তে লিপ্ত আছে। এরা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করতে সব রকম চেষ্টা করেছে। আজ তারা ব্যর্থ হয়ে আবারো নতুন কৌশল নিয়েছে।
হানিফ বলেন, মানুষ জন্মগ্রহণ করলে, মৃত্যু হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে মৃত্যু অস্বাভাবিক হলে মেনে নেওয়া যায় না। হানিফ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল ২০০৬ সালে কিন্তু তার মৃত্যুর ঘণ্টা বেজেছিল ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে।
হানিফ বলেন, ২০০১-০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন কি ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটিয়েছি বিএনপি। সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করে।
নেতা-কর্মীদের মরহুম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের আদর্শে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, তিনি সারা জীবন দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে গেছেন। উনি কখনো কাউকে অসম্মান করেছেন এমন কথা শোনা যায়নি। ছোট-বড় যেই যাক না তাকে আপন করে নিতেন ও সম্মান দিতেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি। কেবল মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এরপরও এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির কথার মালা, অভিযোগের মালা, নালিশের মালা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
বাবার রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে সাঈদ খোকন বলেন, বাবার সঙ্গে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। একমাত্র পুত্রসন্তান ছিলাম আমি। তাই বাবা কখনো চাননি আমি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকি।
সাঈদ খোকন বলেন, ২০০২ সালে বিনা কারণে গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। আমি তখন সংসদ সদস্য ছিলাম না। সরকারি কোনো কাজেও দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম না। তারপরও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমি মাসের পর মাস অন্ধকার কারাগারে ছিলাম। বাবা বাইরে ছিলেন। তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। যখন কারাগার থেকে বেরিয়ে আসি, বাবা জড়িয়ে ধরে বললেন, আমি তোকে সবসময় বলেছি, রাজনীতি থেকে দূরে থাকিস। আজকে আমি বলছি, তুই রাজনীতি করবি। যতদিন এই সরকারের পতন না হয় তোর যেভাবে মন চায় আন্দোলন-সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বি। আমি তোকে পারমিশন দিলাম। বাবার কথাটা এখনো কানে বাজে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ