সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দু’টি কূপ ব্যবহারের উদ্যোগ তিতাসের টার্গেট ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অব্যাহত গ্যাসের সংকট কাটাতে তিতাসের নতুন দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হলে সামান্য পরিমাণে হলেও তিতাসের নির্দিষ্ট এলাকাকে গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, তিতাসের নতুন দুটি কূপ থেকে ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ জাতীয় গ্রিডে।
এদিকে তিতাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথমবারের মত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস গ্যাস ফিল্ডের সম্পূর্ণ নতুন স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রস্তুতি চলছে। তিতাসের নতুন দুটি কূপের গ্যাস উত্তোলন করা হবে আরো গভীরতর আলাদা জোন থেকে।
এরমধ্যে খনন কাজ শেষ হয়েছে, শিগগিরই শুরু হবে গ্যাস উত্তোলন। এর ফলে জাতীয় গ্রীডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। দেশের জ্বালানি চাহিদার ৩১ ভাগ পূরণ করছে তিতাস গ্যাস। এর ধারাবাহিকতায় মাটির নিচে সম্পূর্ণ নতুন স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র আরো জানায়, এরই মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে প্রসেস প্লান্ট। সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন, নতুন করে ২৩ ও ২৪ নম্বর কূপ থেকেই তোলা হবে গ্যাস। এছাড়াও খনন করা হয়েছে ২৫ ও ২৬ নম্বর কূপ। কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, নতুন করে এই দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ বাড়বে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিতাসের ৪ টি নতুন কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে অন্তত ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নগরীতে ক্রমেই বাড়ছে গ্যাসের সংকট। অনেক এলাকাতেই দিনের বেলায় চুলা জ্বলে না। এছাড়া নতুন গ্রাহকরা এখন আর কোন সংযোগ পাচ্ছেন না। ফলে সংকট দিনে দিনে আরো প্রকট হচ্ছে।
সূত্র জানায়,আবাসিক গ্যাসের সংযোগ পেতে সরকারি নিয়মে চাহিদাপত্র বা ডিমান্ড নোটের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েও নতুন সংযোগ পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। সরকারি ঘোষনা মোতাবেক আবাসিকের সংযোগ বন্ধ থাকায় তারা কোন সংযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু গ্যাসের সংযোগ পেতে নিয়ম অনুসারে ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্যাংক টাকা জমা দিয়েও গ্রাহকরা এখন সেই টাকাও পেরত পাচ্ছেন না। ফলে গ্রাহক এবং ঠিকাদার উভয়েই এখন বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে দুর্ভোগে থাকা হাজার হাজার গ্রাহকের কথা বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক ভবনসহ বন্ধ থাকা সকল গ্যাস সংযোগ দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছে তিতাস গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার মালিক সমিতি।
ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোন প্রজ্ঞাপন জারি না করে আকস্মিকভাবে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে গ্যাস সংযোগের জন্য ঠিকাদারদের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা তিতাস গ্যাসের চাহিদাপত্র গ্রহণ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া গ্রাহকরা বিপাকে পড়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ