বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

সাইবার নিরাপত্তায় এনবিআরকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে ---পলক

স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকা সরকারি ২১টি সংস্থার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অন্যতম। এজন্য এনবিআরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয়ে 'ডিজিটাল এনবিআর এ সাইবার নিরাপত্তা কার্যক্রম' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইটি বিশেষজ্ঞ ও বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বারসহ সেমিনারে আইটি সেক্টরের বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-সহ সরকারের ২১টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে, আমরা তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে এনবিআর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল এনবিআর গঠনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পেরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ গর্ববোধ করি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাইবার হামলার পর সময় এসেছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ভাববার। তথ্য নিরাপত্তার বিষয়কে সরকার বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ২৭ লাখ হয়েছে। দিনদিন এ সংখ্যা বাড়ছে। এসব করদাতার তথ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে টাকা না থাকলেও অনেক তথ্য রয়েছে। হ্যাকাররা এসব তথ্য চুরি করে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এনবিআর রাজস্ব আদায়ের জন্য যেভাবে ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে সেভাবে সাইবার নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি সরকারের অগ্রাধিকার। তাই আমরা পার্টনারশিপ করে কাজ করছি এবং আজকে আমাদের আইটি টিম ও এনবিআর টিমের একসাথে বসা হয়েছে।
পলক বলেন, সাইবার এটাকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ক্ষেত্রে যে সাইবার ক্রাইম হয়েছে, তা আমাদের প্রচলিত ধারণার বাইরে। এটি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী সাইবার এটাক। এ ধরণের অপরাধ রোধে ফিলিপাইন বা অন্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করা দরকার। তা না হলে যে কোনো সময় এর থেকেও বড় ধরণের চুরি হওয়া সম্ভব।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমরা ফিজিক্যাল সিকিউরিটির জন্য অনেক টাকা খরচ করে থাকি কিন্তু সাইবার সিকিউরিটির জন্য তেমন খরচ করি না। আমাদের এখন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ দরকার।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কেবল ডিজিটালাইজেশনের অভাবে পুরো রাষ্ট্রকে নস্যাৎ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯৬ ভাগ মানুষ ইংরেজিতে দক্ষ নয়। তাদের কাছে পৌঁছতে হলে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে না।
নজিবুর রহমান বলেন, আমাদের চিন্তার বিষয় অনেক প্রসারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভবিষ্যতে এনবিআর ও আইসিটি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে। সবার আগে নিরাপত্তা। এটিকে আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আমরা অভ্যন্তরিণ সম্পদ আরোহনে যেমন কাজ করছি,তেমনি করদাতাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। আর একারণেই তথ্য প্রযুক্তিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ