সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বিপিএলের পঞ্চম আসর ৪ নবেম্বর শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার : আগামী ৪ নবেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের পঞ্চম আসর। ৪ নবেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও ২ নবেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এর উদ্বোধনী কনসার্ট। আর ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার ড্রাফট। এবারের বিপিএলে একটি দল বাড়তে পারে। সে হিসেবে দল সংখ্যা হবে ৮টি। নতুন দল হিসেবে থাকছে সিলেট। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ধারিত ডকুমেন্ট দিতে ব্যর্থ হলে দলের সংখ্যা কমতে পারে। এই আসরে ম্যাচ হবে ৬০টি। মোট ৩টি ভেন্যুতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা, সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এসময় উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে এবারের বিপিএলে প্রতিটি দলে আইকন ও ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরি মিলিয়ে খেলোয়াড় থাকবে ৪ জন। তবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের খেলানোর ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কমপক্ষে ১০ জন ও সর্বোচ্চ ১৩ জন স্থানীয় খেলোয়াড় নিতে হবে দলগুলোকে। আর আগের বার ৪ জন বিদেশি খেলোয়াড় রাখার নিয়ম থাকলেও এবার সেই সংখ্যা আরও একজন বাড়ানো হতে পারে। আগের চার আসরে প্রতি ম্যাচে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা খেলাতে পারতো সর্বোচ্চ চার বিদেশি খেলোয়াড়, তবে পঞ্চম আসরে সংখ্যা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। চার থেকে বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বিদেশি খেলোয়াড়কে একাদশে রাখার চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা। সামনের আসরে দল বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনাও করছে বিপিএল গভর্নিং কমিটি। আগের আসরের সাত দল বেড়ে আট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গত আসরে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ছিল না সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই আসরে তারা ফেরায় দল সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে আটে। তবে শেষ পর্যন্ত সব দলকে অংশ নিতে হলে বিপিএলের শর্ত পূরণ করতে হবে ফ্র্যাইঞ্চাজিগুলোকে। এ নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৮ দল খেলবে। দলগুলোকে চূড়ান্ত করার পর্যায়ে আমাদের কিছু শর্ত থাকে, সেই শর্তগুলো যারা পূরণ করতে পারবে, তারাই খেলবে। মোট দল সাতটাও হতে পারে, তবে সাতটার চেয়ে কমবে না।’ দল বাড়লে খেলোয়াড়ের চাহিদাও বাড়বে। আর এই চাহিদা দেশীয় খেলোয়াড়দের দিয়ে পূরণ করা সম্ভব কিনা, তাতে সংশয় আছে বিপিএল কমিটির। তাই সামনের আসরে বিদেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা একাদশে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার, ‘এই সংখ্যাটা চার নাকি পাঁচ হবে- তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আমাদের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে আবেদন এসেছে পাঁচজন করে বিদেশি খেলোয়াড় নেয়ার। আমরা যদি আটটা দল নিয়ে খেলি, তাহলে সব দলের জন্য যতটা দেশি ক্রিকেটার দরকার, তা কিন্তু আমাদের নেই। এই জন্যই ফ্যাঞ্চাইজিরা আমাদের কাছে একটা আবেদন করেছে। এই টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক মানটা আমরা বজায় রাখতে চাই। সে দিক থেকে চিন্তা করেই তাদের আবেদন নিয়ে আমরা ভাবছি।’ এবার জমকালো আয়োজনে এবার বিপিএলের উদ্বোধন করা হবে। ২ নবেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে জমকালো এই অনুষ্ঠান। তার আগেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে বিপিএলের মাঠের বাইরের লড়াই, ৪ নবেম্বর মাঠে গড়ানোর আগে দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তাদের খেলোয়াড় সংগ্রহ করার তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। ওই দিন স্থানীয় এক হোটেলে প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। খেলোয়াড় সংগ্রহ করার প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। যেমন আইকন ও এ-প্লাস ক্যাটাগরি থেকে চারজন খেলোয়াড় নিতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। প্রতিটি দল সর্বনিম্ন ১০ এবং সর্বোচ্চ ১৩ জন দেশি খেলোয়াড় নিতে পারবে। প্লেয়ার ড্রাফট থেকে নিতে হবে অন্তত সাত দেশি খেলোয়াড়কে, যেটা আবার এ-প্লাস ক্যাটাগরি বাদ দিয়ে। সব মিলিয়ে আট দল অংশ নিলে ম্যাচ সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০টি। ৫৬ ম্যাচ হবে লিগ পর্বে, একটা এলিমিনেটর ম্যাচ, দুটি কোয়ালিফাইয়ার এবং একটি ফাইনাল। তবে কোনও কারণে দল কমে গেলে ম্যাচ সংখ্যাও কমে যাবে। প্রথমবারের মতো বেশ কিছু ম্যাচ সিলেটে হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার, ‘সিলেটে খেলা নিয়ে কিছুটা সমস্যা আছে। কারণ ওখানে হোটেল আছে মাত্র একটা, যেখানে হয়তো চারটা দল থাকতে পারবে। সব দিক চিন্তা করে আমরা সিলেটের স্টেডিয়ামটা আরও একবার রিভিউ করব। হয়তো তিন চার দিনের জন্য বিপিএল সিলেটে যেতেও পারে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ