ডিসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে রিটকারীকে হুমকির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (উত্তর ও দক্ষিণ) বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারীকে হুমকি দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে রিটকারীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য হুমকিদাতাকে সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতামত দেয়া হয়েছে।
হুমকি দেয়ার পরে এ সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার করে নিতে গতকাল রোববার আদালতে গেলে বিষয়টি অবগত হন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পরে রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুকতাদির রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আইনজীবী মুকতাদির রহমান বলেন, আমার মক্কেল তার দায়েরকৃত রিট প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তখন রিট প্রত্যাহারের কারণ জানতে চান। তখন রিটকারীর পক্ষ থেকে বলা হয়, রিট প্রত্যাহারের জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রভাবশালীদের পক্ষ থেকে হুমকি আসছে বিধায় তিনি এটি প্রত্যাহার চান।
এ সময় সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আদালতকে অবহিত করে বলেন, এ সংক্রান্ত আরও ৪০ থেকে ৫০টি আবেদন বিভিন্ন কোর্টে বিচারাধীন আছে। একটি আবেদন প্রত্যাহার করলে কী আর হবে। এ সময় আদালত হুমকি দেয়া রিটকারীর কাছে ক্ষমা চাইতে সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীকে মৌখিক নির্দেশ দেন এবং মামলা চালিয়ে নেয়ার পক্ষে মত দেন।
বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা কেন স্থগিত করা হবে না-তা জানতে চেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে হাইকোর্টে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু আপিল বিভাগ ওই আবেদনের শুনানি করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দেন।
রিটকারীর আইনজীবী মুকতাদির রহমান আরও জানান, রাজধানীর বাড়ির মালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২২ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন ঢাকার বাসিন্দা সাইফ আলম। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৯ জানুয়ারি রুল জারি করেন আদালত।
তিনি জানান, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (ট্রাক্সশন) রুলস-১৯৮৬, আইনটি ২০০৯ সালে বাতিল করে নতুন আইন করা হয়। এরপর এ সংক্রান্ত নতুন যে আইন অর্থাৎ স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ করা হয়, সেখানে কোথাও ট্যাক্স আদায়ে কোনো বিধান রাখা হয়নি। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিকদের ১৯৮৬ সালের পুরনো আইন অনুযায়ী নোটিশ দেয়া হচ্ছে। যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ কারণে হাইকোর্ট ওই নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।