কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুতুল পোড়াল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
কলকাতার বিড়লা মিউজিয়াম থেকে গত শনিবার দলীয় পতাকা, ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করে তারা পার্কসার্কাসে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের দিকে এগোতে থাকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পাশাপাশি বজরং দলের শতাধিক কর্মী এই মিছিলে অংশ নেন। যদিও মিশনের সামনেই বেকবাগান মোড়ে মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। এরপর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশপুতুল পোড়ায় বিক্ষোভকারীরা। মিছিল থেকে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত ইসলাম-এর মতো দলগুলিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন বন্ধের দাবি নিয়ে বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য যায় কিন্তু উপ হাইকমিশন বন্ধ থাকায়, তারা স্মারকলিপি জমা দিতে পারেননি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মিডিয়া ইনচার্জ সৌরিশ মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তার প্রতিবাদেই আজকের মিছিল। আমাদের একটাই দাবি, অত্যাচার বন্ধ হোক। হাসিনা সরকারতো সংখ্যালঘু দরদী সরকার বলে পরিচিত।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকার আসার পর হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হয়নি তা বলব না। কিন্তু আমাদের কাছে যে খবর আসছে তাতে সংখ্যালঘুরা ভালো নেই। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া নৈতিক কর্তব্য।
মিছিলে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির সভাপতি মিঠুন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তাতে হিন্দুদের সেখানে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আমরা মরণপণ লড়াই করে টিকে আছি। প্রতিদিন হিন্দুরা ভারতে চলে আসছেন।
বজরং দলের নেতা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু, চাকমাসহ সংখ্যালঘুদের ওপর দিনের পর দিন মুসলিম মৌলবাদের অত্যাচার চলছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ। এই অত্যাচারে প্রচুর সংখ্যালঘু মানুষকে খুন হতে হচ্ছে অথবা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকার সেদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা দিতে পারছে না।
আগামী দিনে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে বড় আন্দোলনের হুঁসিয়ারি দেন তিনি।