বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

নৌবাহিনীর নাবিক পদে ৪ যুবককে চাকরি দেয়ার ভুয়া কাগজপত্রসহ দুই প্রতারক গ্রেফতার

খুলনা অফিস : নৌবাহিনীর নাবিক পদে চার যুবককে চাকরি দেয়ার ভুয়া কাগজপত্রসহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে খালিশপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ফরিদ রানা (৩৫) ও জহিরুল ইসলাম (২৯) নামের দুই প্রতারককে খালিশপুর থানায় সোপর্দ করা হলে শনিবার তাদেরকে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মা. নাসিম খান (পিপিএম) বলেন, নৌবাহিনীর সদস্যরা ফরিদ রানা ও জহিরুল ইসলাম নামে দুই যুবককে থানায় সোপর্দ করেন। গ্রেফতারকৃত ফরিদ রানা ও জহিরুল পাবনার সাজ্জাদ হোসেন ও মো. আইনুল হক এবং সিরাজগঞ্জের জেলা থেকে ফরহাদ আলী ও মো. খোকন আলীকে নৌ বাহিনীর নাবিক পদে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকলাখ টাকা আত্মসাত করে। গত বৃহস্পতিবার তাদেরকে খুলনা বানৌজা তিতুমীরে ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসে ফরিদ রানা। এ সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভুয়া প্রমাণিত হয়। ফলে তাদেরকে খালিশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।
ওসি জানান, প্রতারতকদের সাথে পাবনায় অর্থ লেনদেন করায় চার যুবক ও তাদের অভিবাবকদের আইন অনুযায়ী পাবনার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের জন্য বলা হয়েছে। ভুক্তভোগী যুবকরা হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলার উল্যাপাড়া থানার বাগমারা গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. ফরহাদ আলী, একই এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে মো. খোকন আলী, পাবনার আটঘড়িয়া থানার গঙ্গারামপুর গ্রামের আব্দুস সালাম আসমানের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন ও পাবনার আটঘড়িয়া থানার বাদশা প্রামানিকের ছেলে মো. আইনুল হক।
ফরহাদ আলী জানান, পাবনা জেলার চাটমহোর থানার শিতাই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ফরিদ রানা গত ১০ মে নৌবাহিনীর নাবিক পদে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১১ লাখ টাকা চুক্তি করে। সেদিন ফরিদ রানার কাছে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা অগ্রিম জমা দেন তারা। একই দিনে খোকন আলীর সাথে ১৪ লাখ টাকা চুক্তি করেন ফরিদ রানা। চাকরীর নিয়োগপত্র হাতে পেলে সে টাকা পরিশোধ করার চুক্তি হয়।
অপর ভুক্তভোগী মো. আইনুল হক জানান, নাবিক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে সে এবং সাজ্জাদ হোসেন ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ফরিদ রানা ও জহিরুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। পরে তাদের নাবিক পদে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ পত্র দেয়া হয়। তারা নিয়োগ পত্র নিয়ে খুলনায় মেডিক্যাল রিপোর্ট করাতে এসে বাহিরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই চার যুবক ভিতরে ঢুকতে চাইলে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন এ সময় তারা নিয়োগপত্রসহ অন্যান্য কাগজ দেখালে নিয়োগপত্র গুলো ভুয়া প্রমাণিত হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ