রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

রাখাইনে জাতিসংঘের তদন্ত নিয়ে সতর্ক করলো মিয়ানমার

১৮ জুলাই, রয়টার্স : রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর অত্যাচারের প্রমাণ পেতে চলা জাতিসংঘের তদন্ত পশ্চিমাঞ্চলের ওই রাজ্যের উত্তেজনা ‘কেবল বাড়াতেই পারে’ বলে সতর্ক করেছে মিয়ানমার।
গতকাল মঙ্গলবার দেশটির নেত্রী অং সান সুচির নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা থং টুন কূটনীতিকদের কাছে জাতিসংঘের তদন্ত নিয়ে মিয়ানমারের অসন্তোষের কথা ফের জানান বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্কট মার্শেলসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং বলেন, “জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত থেকে আমরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন করেছি, কারণ এটা কম গঠনমূলক। তাদের তদন্ত ওই এলাকার উত্তেজনা কেবল বাড়াতেই পারে।”
তদন্ত দলকে স্বাগত জানাতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালির আহ্বানের এক সপ্তাহ পর মিয়ানমার সরকারের এই প্রতিক্রিয়া এলো।
এর আগেও মিয়ানমার জাতিসংঘের তদন্ত দল নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে তারা জাতিসংঘ তদন্ত দলের তিন বিশেষজ্ঞকে মিয়ানমারের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ১০ লাখের মতো মুসলিম রোহিঙ্গার বাস, যাদের সিংহভাগই থাকেন পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে।
দশকের ওপর সেনাশাসনে থাকা দেশটিতে প্রায়ই রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, সেনা অভিযানের নামে প্রায়ই সেখানে মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়না।
গত বছর অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ মিয়ানমার সীমান্তপুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালিয়ে নয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
ওই হামলার পর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সেনাঅভিযানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়, অসংখ্য নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়, পুড়িয়ে  দেয়া হয় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রাণ ভয়ে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
মিয়ানমারের সরকার অবশ্য শুরু থেকেই রাখাইনে সহিংসতা ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ