খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে দক্ষ ও আদর্শ কর্মীবাহিনী তৈরি করতে হবে -মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রচলিত ধারার বিপরীতে একটি আদর্শ ও আধ্যাত্মিক সংগঠন। কোন তন্ত্র-মন্ত্র নয় বরং আল্লাহর জমীনে আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে রাষ্ট্রে ইনসাফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুজুর্গ হাফেজ্জী হুজুর খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে খেলাফতের প্রতিটি কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে, ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শের বাস্তব অনুসরণের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্বদানের যোগ্যতাসম্পন্ন দক্ষ ও আদর্শ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ খেলাফত মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক সাংগঠনিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব রোকনুজ্জামান রোকন।
ঢাকা মহানগর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় পরিচালিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসাইন, প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, খেলাফত আন্দোলন প্রচলিত হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি করে না। প্রচলিত রাজনীতির সাথে এর কোন সম্পর্ক ও মিল নেই। বরং হাফেজ্জী হুজুর এর আদর্শ ছিল শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীবৃন্দ নেতৃত্বের যোগ্যতা ও গুণাবলী অর্জন করত থানায় থানায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, মহল্লায় মহল্লায় ছড়িয়ে পড়লে এ দেশে খেলাফত কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। সমাজ থেকে হানাহানি, খুন-ধর্ষণ, অন্যায়-অবিচার সম্পূর্ণরূপে দুরীভূত হবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।