বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

খোকসার আবু বকর টার্কি পালন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে

খোকসার আবুবকরের টার্কি খামার

আমীর হামজা, খোকসা (কুষ্টিয়া) থেকে : জেলার খোকসা উপজেলার আবু বকর টার্কি মুরগী পালন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন বহু মানুষ তার খামার দেখতে আসছেন। অনেকেই নিচ্ছে পরামর্শ, আগ্রহ দেখাচ্ছে খামার স্থাপন করার।
উপজেলার বরইচারা গ্রামের কলেজ শিক্ষক অনেকটা শখের বশেই গত বছর ২৫০টি টার্কি নিয়ে খামার শুরু করে। এখন তার খামারে সহস্রাধিক টার্কি রয়েছে। তিনি জানান, টার্কি পালন লাভজনক ব্যাবসা। উন্নত বিশ্বে টার্কির মাংশ অন্যতম আকর্শনীয় খাবার। খ্রিষ্টানদের বড়দিনে টার্কি ছাড়া যেন চলেই না। টার্কি মুরগীর মত রান্না করে খাওয়া যায়। ঢাকার বাজারে টার্কির বেশ চাহিদা রয়েছে।
আবু বকর টার্কি লালন পালন সম্পর্কে জানান, টার্কি বাচ্চা ফোটার ২৬ সপ্তাহ পর থেকে ডিম দেয়া শুরু করে। ৫২ সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। তিনি জানান, টার্কির ডিম ৬০০/৮০০ টাকা হালি বিক্রি হয়। প্রতি জোড়া ১দিনের বাচ্চা ৫০০-৭০০ টাকায় পাওয়া যায়। ৬ মাস বয়সে পুরুষ টার্কির ওজন হয় ৭-৮ কেজি। তবে মেয়ে টার্কির ওজন একটু কম। তিনি মাংশ হিসেবে প্রতি কেজি ৫-৬ শত টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। টার্কির ফ্যাট বিহীন সুস্বাদু মাংশ ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীর জন্য খুবই উপকারি বলে খামারী জানান।
বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্পে নতুন সংযোজন টার্র্কি সম্পর্কে তিনি বলেন, টার্কি আবদ্ধ ও খোলা দুই অবস্থাতেই লালন পালন করা যায়। খাদ্য হিসেবে শান্তি ঘাস, কলমী, বাধা কপি ও রেডি ফিড খেয়ে থাকে। টার্কির রোগ বালাই নেই বললেই চলে। ওষুধ হিসেবে শুধু মাত্র রেনামাইসিন ও যে কোন মাল্টিভিটামিনই যথেষ্ট। একটি পূর্ণ বয়স্ক টার্কির ওজন ১ বছরে ১২-১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।  খামারী আবু বকর বলেন, সব মওসুমেই টার্কি পালন করা যায়। এরা কোন দুর্গন্ধ ছড়ায় না। ১ জোড়া বাচ্চা তিন-চার মাস পর্যন্ত পালন করলে খরচ বাদ দিয়ে ৩-৪ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। রয়েল কালারের টার্কির দাম সবচেয়ে বেশি বলে তিনি জানান।
আবু বকরের খামারে বর্তমানে তিন জন কর্মচারী রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিদিন শত শত মানুষ খামার পরিদর্শন করে পরামর্শ নিচ্ছেন। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খামার আরো বড় করে তোলা ও বেকারদের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে আবু বকরের। তার প্রত্যাশা পোল্ট্রি শিল্পের এই খাতকে জনপ্রিয়তায় আনতে পারলে শত শত বেকারের কর্মসংস্থান হয়ে দুঃখ ঘুচবে। খামারি আবু বকরের প্রত্যাশা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ