শনিবার ০৪ মে ২০২৪
Online Edition

কাপাসিয়ায় বিভিন্ন হাটবাজারে ওজনে কারচুপি : চলছে সেরের ব্যবহার

কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে শামসুল হুদা লিটন : কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যবসায়ীদের বাটখারা ও ওজনের মারপ্যাঁচে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেজি বাটখারা ব্যবহার না করে ব্যবহার করা হচ্ছে সেরের বাটখারা। দেদারছে চলছে কেজির পরিবর্তে সেরের হিসাব। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় প্রতিনিয়তই ঠকাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের। অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারক ব্যবসায়ীরা। সেরের ব্যবহার সবচেয়ে বেশী হচ্ছে মাছ-মাংসের দোকানগুলোতে। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরজমিন জানা গেছে, কাপাসিয়া উপজেলা শহেরের প্রাণ কেন্দ্র কাপাসিয়া বাজার,রাণীগঞ্জ বাজার, তারাগঞ্জ বাজার, রাওনাট বজার, চাঁদপুর বাজার,আড়াল বাজার,চালা বাজার,ত্রিমোহনী বাজার,বারিষার বাজার, টোক বাজার, আমরাইদ বাজার, রায়েদ বাজার,ইকুরিয়া বাজার, সিঙ্গুয়া বাজারসহ ছোট-বড় বাজারগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধান, চাল, পাট, আলু, পেয়াজ, রসুন, আদা, গুড়সহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ক্রয়ের সময় অতিরিক্ত ওজনের বাটখারা ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের প্রতারিত করে অতিরিক্ত মুনাফা করছেন। অপরদিকে মাছ-মাংস, সবজিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বিক্রির সময় কম ওজনের বাটখারা ব্যবহার চলছে অবাধে।অনেক হাট-বাজারে বিভিন্ন জাতের মাছ, ছাগল, গরু, মহিষ, মোরগের মাংস বিক্রির সময় কেজি বাটখারা ব্যাবহার না করে মান্ধাতা আমলের সেরের ব্যবহার করেও ক্রেতাদের প্রতারিত করা হচ্ছে। কেজির ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকলেও এখনো অনেক জায়গায় সেরের ব্যবহার চলছে। বাজারে কেজির যে বাটখার ব্যবহার চলছে তার সঠিক ওজন এবং সেরের ব্যবহার নিয়ে প্রতিনিয়তই ক্রেতাদের সাথে ব্যবসায়ীদের বাকবিতন্ডা হতে দেখা যায়। কেজি বাটখারা দিয়ে বাজার থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ বা মাংস কিনে সঠিক ওজনের বাটখারা দিয়ে পরিমাপ করলে তা ৮০০ গ্রামের বেশি হয় না। এতে ১ কেজি মাংসের মূল্য ৪০০ টাকা ধরে ২০০ গ্রাম কম দিয়ে প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত ৮০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারক ব্যবসায়ীরা। সের কেজি’র মারপ্যাঁচে ওজনে কম দেয়ার প্রবণতা যেন এক ধরনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে গাভীর খাঁটি দুধ পরীক্ষার ব্যবস্থা স্থানীয় হাটবাজারে দেখা না মিললেও পরিমাপের পাত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তেলের কৌটা ,পানীয় বোতল অথবা এলুমিনিয়াম মগ। ১ লিটার দুধ ক্রয় করে সঠিক পরিমাপের পর প্রতি লিটারে ২০০/২৫০ মিলিলিটার দুধ কম পাওয়া যায়। স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাপের একক হিসেবে গ্রাম বাধ্যতামূলক থাকলেও দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। স্বর্ণ পরিমাপের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ভরি, আনা, তোলা বা রতি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রা। এ ছাড়াও সরকারি খাদ্য গুদামগুলো থেকে সরবরাহকৃত চাল বা গমের বস্তায় পাওয়া যায় ১০০ কেজির স্থলে ৯৫ কেজি। কম ওজন চালের বস্তা সরবরাহ করায় রিলিফ বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, সদস্যদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। কাপাসিয়ায় বা গাজীপুরে বিএসটিআই’র কোনো কার্যক্রম নেই। ঢাকা থেকে এসে তারা মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। এই অঞ্চলে বিএসটিআই’র একটি কার্যালয় থাকলে জনগণ আরো বেশি সুফল পেত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ