বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

মামলা সংকটে ভুগছে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল!

 

খুলনা অফিস : মামলা সংকটে ভুগছে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল! দক্ষ বিচারক ও ট্রাইব্যুনালের সকল দপ্তরের জনবল থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনের তুলনায় মামলার আগমন হ্রাস পেয়েছে। খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এখন সপ্তাহেও একটি মামলার তারিখ থাকছে না। অলস সময় পার করছেন ট্রাইব্যুনালে কর্মরতরা। আসামীপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিটের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম স্থগিতাদেশ করাই ট্রাইব্যুনালে মামলা সংকটের অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।

ট্রাইব্যুনালের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দ্রুত বিচারের জন্য মাত্র চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আরও সাতটি মামলা রয়েছে কিন্তু উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ওই মামলাগুলোর বিচার স্থগিত রয়েছে।

আদালতের একটি সূত্র জানায়, বিভাগের প্রতিটি জেলার চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলার বিচার নিষ্পত্তির জন্য স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মামলার সকল কার্যক্রম শেষে নব্বই কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয় এই ট্রাইব্যুনালে। মূলতঃ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কাজ পরিচালনায় আতঙ্কে আসামী পক্ষ স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে।  

সূত্রে জানা গেছে, দেশের চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষে ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ নামে সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একজন করে জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারক রয়েছেন। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করবে শুধু সেই মামলাই এ ট্রাইব্যুনাল বিচার নিষ্পত্তি করবেন। জেলায় চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক যেমন-হত্যা, ধর্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদকদ্রব্য আইনে বিচারাধীন মামলা যে কোন পর্যায়ে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দায়রা আদালত বা বিশেষ আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন। ট্রাইব্যুনালে মামলার পরিচালনার জন্য একজন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) রয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ