শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

স্টেমসেল প্রতিস্থাপনে ৩৪ জনের সুফল পেয়েছে বিএসএমএমইউ

স্টাফ রিপোর্টার : লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ৩৭ জন রোগীর দেহে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করে ৩৪ জনের ক্ষেত্রে সুফল পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
গতকাল মঙ্গলবার শহীদ ডা. মিলন হলে দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টেমসেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মামুন আল মাহতাব। বাংলাদেশ স্টেমসেল এন্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি ও বিএসএমএমইউ’র হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের অ্যাম্বাসেডর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইব্রাহীম সাফি রিজওয়ানি নেজাদ, ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অব ইকোনোমিক্স জিনা ইউকি, জাপানের ডা. শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর, ইরানের ডা. হামিদ রেজা আগায়ান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, স্টেমসেল অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনন্য সংযোজন। প্রায় দেড় বছর ধরে দেশে স্টেমসেল থেরাপি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। লিভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে তারা বিএসএমএমইউ থেকে যথাযথ অনুমোদন নিয়ে লিভার সিরোসিস রোগীদের দেহে স্টেমসেল ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, স্টেমসেল থেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক নতুন আঙ্গিক ও সংযোজন। এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। এ পদ্ধতির সফল বাস্তবায়নে বিএসএমএ’র পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।
কামরুল হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭ জন রোগীর দেহে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা বিরাট অর্জন। স্টেমসেল থেরাপি ব্যবহার করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, সেটা এখন আর শুধু স্বপ্ন নয়, এটা এখন এক সুন্দর বাস্তবতা। ভবিষ্যতে এই  বিশ্ববিদ্যালয়ে রিজেনারেটিভ মেডিসিন নিয়েও কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ