ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী সাড়ে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ
মাদারীপুর ও লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি, লঞ্চ, সি-বোটসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ বন্ধ ছিলো, এতে করে উভয় পারে পারাপারের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে ছোট বড়সহ প্রায় এক হাজার যানবাহন। অন্যদিকে যাত্রীরা পরেন চরম ভোগান্তিতে। এক দিকে শিমুলিয়া ঘাটের ১ নং ২নং ও ৩ নং পরিবহন ও বাস টার্মিনালে অবৈধ দোকান পাটের কারণে পরিবহন মালিক শ্রমিককরাও পরেন চরম ভোগান্তিতে, কারণ একদিকে ফেরি বন্ধ অন্যদিকে দোকানপাটের কারণে গাড়ি পাকিংয়ে সমস্যায় পরেন পরিবহনগুলো এসব দেখার যেন কেউ নেই। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আলী আহম্মদ জানান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টায় থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পযর্ন্ত এ নৌ-রুটের পদ্মার অববাহিকায় ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পরে, এসময়ে যানবাহনসহ ড্রাম ফেরি রানীগঞ্জ, রানীক্ষেত, যমুনা, কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, ও কিশোরী মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয় পরে সকাল ১০টায় কুয়াশা কেটে গেলে ফেরিগুলো তাদের গন্তবে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। বর্তমানে ৪টি রোরো ফেরি শাহ মকদুম, বীর শেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ পরান, এনায়েতপুরীসহ মোট ১৬টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌরুটে। এসব ফেরি রিবামহীন ভাবে চলাচল করলেও উভয় পারে পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার যানবাহন এদের মধ্যে রয়েছে বাস, প্রাইবেটকার, মাইক্রো, এম্বুলেন্স, পন্যবাহী ট্রাক ও কভাটভ্যানসহ অনান্য যানবাহন। এদিকে কুয়াশার কারণে লঞ্চ ও সি বোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পরেন চরম ভোগান্তিতে যাত্রীদের জন্য নির্মিত পেসেনযার সেটের ভিতরে যাত্রীরা কোন ক্রমেই বসতে পারেনি অবৈধ দোকানপাটের জন্য। আর এ সবের জন্য বিআইডব্লিউটিএর এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাকেই দায়ী করেন এ রুটে নিয়মিত চলাচলরত যাত্রীরা। এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এসআই মো. জাকির হোসেন জানান প্রায় ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল সারে ১০টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
এবং আটকে পরা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের নৌ-পুলিশের সদস্যরা বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে তবে অবৈধদোকান পাটের ব্যাপারে বলেন এটি বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তার ব্যাপার এসব তো আর একদিনে বসেনি, তবে উনি বললে আমরা উচ্ছেদে সহযোগিতা করবো।