বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

কাজীপুরে আবার যমুনায় ভাঙন নির্মাণাধীন গুচ্ছগ্রাম বিলীন

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) : যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের পাটাগ্রাম, বাঐখোলা গ্রাম বিলীনের পথে -সংগ্রাম

কাজীপুর থেকে ফিরে শাহজাহান (সিরাজগঞ্জ): জেলায় কাজীপুর উপজেলার পাটাগ্রাম ও বা ঐখোলা গ্রামে অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে নদীর ভাঙনে অন্তত ১০ হেক্টর  আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের পাটগ্রামে নির্মাণাধীন গুচ্ছ গ্রাম ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়েছে। এতে করে ঘর উঠানো দূরে থাক, মাটি ফেলার কাজ শেষ না হতেই পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
গত শনিবার  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামের নির্ধারিত স্থান থেকে যমুনা নদী মাত্র ১০-১২ গজ দূরে রয়েছে এবং ক্রমাগত ভেঙে চলেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙনের মুখেই সামান্য দূরে চলতি বছর ওই গুচ্ছগ্রামের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। নির্মাণাধীন গুচ্ছগ্রামে মাটি ফেলার জন্য ৯০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের স্থানটি যমুনা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
কারেন্ট জালে মরছে পাখি
চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় সবজি ও ফল ক্ষেতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বেষ্টনী দিয়ে নির্বিচারে পাখি নিধন চলছে। পাখির হাত থেকে সবজি ও ফল রক্ষায় কৃষকরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে নির্বিচারে পাখি হত্যা করলেও তা রুখতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বিচারে পাখি হত্যার এ অপচেষ্টা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কোনো পদক্ষেপ কিংবা কৃষকদের সচেতন করার ব্যবস্থাও নেয়নি কেউ।  বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন নির্বিচারে অসংখ্য পাখির প্রাণহানি ঘটছে। বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের ফলবাগান ও সবজি ক্ষেতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বেষ্টনী দিয়ে রেখেছেন। বিশেষ করে কুলবাগান, বেগুন ক্ষেত, পেয়ারাবাগান, পেঁপেবাগানসহ বিভিন্ন ফল ও সবজিবাগানের আশপাশে কারেন্ট জালের বেষ্টনী দিয়ে রেখেছেন তারা। আহারের সন্ধানে আসা অসংখ্য পাখি এসব জালে আটকে প্রাণ হারাচ্ছে। সিরাজগঞ্জ নাটোর,পাবনা জেলার উচু চর এলাকায় অসংখ্য সবজি ও ফলের বাগান রয়েছে। প্রতি বছর এসব বাগানে বিপুল পরিমাণ সবজি ও ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। বাগান মালিকরা পোকা-মাকড় থেকে কুল, পেয়ারা, পেঁপে রক্ষার জন্য গাছে কীটনাশক ছিটানোর পাশাপাশি সবজি ক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে বাগানে কারেন্ট জাল পেতে রেখেছেন। এলাকাবাসী জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পাবনার চাটমোহর ভাঙ্গুড়া ঈশ্বরদী, নাটোরের ঘুরুদাসপুর বড়াইগ্রাম উপজেলার   বিভিন্ন ফলের বাগানে পাখি নিধনের এ ব্যবস্থা করেছেন অনেকে। উপজেলার মানিকনগর, সাহাপুর, বক্তারপুরে বিভিন্ন ফল ও সবজির বাগানে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে বুলবুলি, শালিক, চড়ূইসহ বিভিন্ন জাতের পাখি মরে পড়ে আছে। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রওশন জামাল বলেন, ফসল বাঁচানোর আরও অনেক উপায় আছে। এভাবে পাখি মেরে ফসল বাঁচানোর কৌশল মোটেও সঠিক নয়। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তফা জামান বলেন, এভাবে পাখি হত্যা আইনত অপরাধ। তবে এ সম্পর্কে কেউ তার কাছে কোনো অভিযোগ দেয়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ