বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো

Mobile phone অর্থ-সচল, ভ্রাম্যমাণ বা গতিময় টেলিফোন আর Telephone- এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হচ্ছে দূরালাপনী যন্ত্র। মোবাইলফোনকে মুঠোফোন ও বলা হয়। অবশ্য এর আরেক নাম হলো Cellphone. মোবাইল ফোন সিস্টেমে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যকে ডিজিটালে (Digital) রূপান্তরিত করে তথ্য আদান প্রদান করা হয়। মোবাইল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিসমূহ নিম্নরূপঃ যেমন- CDMA, GSM, FDMA আধুনিক মোবাইল ফোন ব্যবস্থায় উপরোক্ত তিনটি প্রযুক্তির যেকোন একটি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। মোবাইল ফোন মূলত টেলিফোন বা কর্ডলেস এর মতো কাজ করে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট Range এ সীমাবদ্ধ নয়। মোবাইল ফোনের কার্যক্রম বিস্তৃত। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে নির্ধারিত মোবাইল ফোন কোম্পনী হতে নির্ধারিত (SIM) সিম কার্ড কিনতে হয়। মোবাইল ফোন শুধু Voice Call ই নয়, এটির মাধ্যমে ডাটা পাঠানো বা গ্রহণ করা হয়, SMS করা যায়, Camera, Culculator, Video, Games ইত্যাদি করা যায়। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনগুলোতে রেডিও ওয়েব ট্রান্সমিশনে এবং কনভেনশনাল টেলিভিশন সার্কিট সুইচিং এর সমন্বয়ে ব্যবহৃত হয়। মহান আল-কোরআনে ৬৭ নং সূরা মূলকের ৩নং আয়াতে বলা হয়েছে, “তিনি (আল্লাহ) স্তরে স্তরে ৭টা আসমানকে সাজিয়েছেন। তোমরা মহান দয়ালু (আল্লাহর সৃষ্টি কর্মের মধ্যে কোথাও কোনো অসংগতি বা অবৈজ্ঞানিক সৃষ্টি দেখতে) পাবে না। (আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে কোনো ভুল প্রমাণ হবে না এবং প্রথম সৃষ্টির পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত তার সৃষ্টির কোনো কিছু সংশোধন বা সংযোজন করা লাগবে না, কারণ তা মহা বিজ্ঞানীর বিজ্ঞচিতভাবে সৃষ্টি করা)।”
খন্দকার আবুল খায়েরের লিখিত ‘দারসে কুরআন সিরিজ-৩৬’ আল্ মুলক বা রাজত্ব নামক সূরার মৌলিক শিক্ষা পুস্তিকায় ৩নং আয়াতের ‘ফতুর’ শব্দের ব্যাখ্যা করতে যেয়ে খুলনার কলারোয়া থানা (বর্তমান সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত) হামিদপুরের মরহুম মওলানা মুয়েজুদ্দিন হামিদি সাহেবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, এই ‘ফতুর’ শব্দটি থেকে বিজ্ঞানীরা ‘ইথার’ শব্দ তৈরি করে নিয়েছেন। বায়ুমন্ডলের গঠন বা স্তরবিন্যাস প্রধানত দু’টি- যথা Homosphere এবং Heterosphere. Homosphere ভূ-পৃষ্ঠ হতে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। Heterosphere ৮৫ কিলোমিটার থেকে ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই Heterosphere এর প্রথম ধাপ হলো পারমাণবিক নাইট্রোজেনের স্তর। উহাকে আয়নোস্ফিয়ার বলে। আয়নোস্ফিয়ারে বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় রশ্মি তড়িতাহত হয়ে ইলেকট্রন ভেঙ্গে যায়। ফলে পজেটিভ (ধনাত্মক) ও নেগেটিভ ( ঋণাত্মক) দুই ধরনের আয়নেরই প্রাচুর্য ঘটে। এ কারণে বেতার তরঙ্গ এ স্তরে প্রতিফলিত হয়ে পূর্ণরায় পৃথিবীতে ফিরে আসে। দিনের বেলায় সাধারণত আয়নোস্ফিয়ারের নিম্নসীমা ৫৬ কিলোমিটারে নেমে আসে এবং রাতের বেলায় সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ কিলোমিটারে উঠে যায়। মহান সৃষ্টার এই সৃষ্টি কৌশলকে কাজে লাগিয়েই বিজ্ঞানিরা রেডিও ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ও ওয়াপ (WAP) ফ্যাসিলিটি  দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এই নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সেবার উচ্চমূল্য ও দূরগতি নিয়ে ১৫/০১/১৮ খ্রিঃ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ৮নং পৃষ্ঠায় সম্পাদকীয়তে কলাম লিখা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “....... ২০০৯ সালে যেখানে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউথের মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা তা কমে বর্তমানে ৬২৫ টাকায় নেমে আসলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টানেটের মুল্যে বা সেবায় মান উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।.........”
ইন্টানেট সেবার অন্যায্য দাম নিয়ে অনেকেই মুখর ছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরেই কিন্তু দেশের গ্রাম গঞ্জে যে করুণ অবস্থা এরূপ পরিস্থিতিতে বছরের শুরু থেকেই সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন মন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বারের নিকট ইন্টারনেটের গতিবৃদ্ধি মূল্য হ্রাসের জন্য সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অধিক। চলমান জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন দেশের ১২ কোটি মানুষ ইন্টারনেট তথা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ১৩/০১/১৮ খ্রিঃ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় শিরোনাম এসেছে, ‘ গ্রামীণ ফোনের গ্রাহক সেবা এখন তলানিতে- হরহামেশা কলড্রপ, অভিযোগে ফল মেলে না।’ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (BTRC) কর্মকর্তারাও বলেছেন কলড্রপ পরিমাপ নির্ধারণ করতে কিছু যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। সেগুলোর ব্যবহার শুরু হচ্ছে। এখন আর তাদেরকে অপারেটরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। কারণ সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। এ যেন রাম রাজ্য পেয়ে বসেছে। গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে রেলওয়ের নেটওয়ার্ক নিয়ে থাকা বিবাদের বিষয় কেউ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে নিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের লুটে নেয়া টাকা গ্রামীণ ফোনের কোম্পানী নিকট থেকে সরকারের কোষাগারে যাওয়া উচিত। এনবিআর ও বিটিআরসি’র উপর গ্রামীণ ফোনের কূটনীতি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ বিভিন্ন মহল প্রচন্ড প্রভাব ফেলেছে যার ফলে গত ১৫বছরে প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মের অনেক ঘটনায় জনসমক্ষে আসেনি। যার বিভিন্ন সময়ে দক্ষতার সঙ্গে ম্যানেজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মাসিক ক্যারেন্ট ওয়ার্ল্ড জানুয়ারির ২০১৮ এর ১১নং পৃষ্ঠায় রিপোর্ট/জরিপ পাতাটিতে আইসিটি উন্নয়ন সূচক ২০১৭ এ বলা হয়েছে, ‘মোবাইল ফোন, দ্রুতগতির ইন্টারনেটের মতো তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এশিয়া- প্যাসিফিকের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এই অঞ্চলের ৩৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০। আর সার্বিকভাবে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭। এক বছর আগে এই অবস্থান ছিল ১৪৬-এ।’
ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশের পূর্বে ও পরে পৃথিবীতে যে সকল লক্ষণ প্রকাশিত হবে সে সম্বন্ধে সহীহ হাদীস গ্রন্থে সুস্পষ্ট বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন- হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “ সময় নিকটবর্তী হবে। (অর্থাৎ যাতায়াত এবং সংবাদ আদান-প্রদানে বেশি সময় লাগবে না। বর্তমান যান্ত্রিক যোগে রেল, স্টিমার, বিমান ও গাড়ির সাহায্যে যাতায়াত অত্যন্ত সহজসাধ্য হয়ে পড়েছে এবং চিঠিপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোনের সাহায্যে দ্রুত সংবাদ আদান প্রদান চলছে।) ...............” (সহীহ্ আল্-বুখারী ও মুসলিম)
-আবু মুনীর

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ