রবিবার ০৫ মে ২০২৪
Online Edition

আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে -আইন মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, কারাগারকে সংশোধনাগারে পরিণত করার জন্য আধুনিক কারা আইন ও পরিবর্ধিত কারাবিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা হচ্ছে মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিনা বিচারে কেউ যেন কারাগারে আটক না থাকেন। তার এই নির্দেশনার আলোকে সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ করে কারাবন্দীদের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজেসলেটিভ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরুল হাছান। এ ছাড়াও লিগ্যাল এইড অফিসের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে খালেদা আক্তার, কাইয়ুম ভূইয়া, দিলিপ পাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র কারাবন্দিদের দুর্দশা লাঘবে প্রয়োজনীয়, স্থায়িত্বশীল এবং পরিবর্ধিত আইনি কাঠামো তৈরি করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি। কারাবন্দীদের মামলায় যথাসময়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনগত সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন প্রক্রিয়া গ্রহণেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা আইনগত সহায়তার পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য দক্ষ ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবরূপ দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালত পর্যন্ত সব বিচারকের বেতন ও সুবিধাদি বৃদ্ধি করেছি। দেশীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিচারকদের বিদেশেও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, আমি মনে করি সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। তাই সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য নির্ভর করছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনমত সৃষ্টির ওপর। কারণ এখনও এদেশের জনগণের একটি অংশ দরিদ্র ও নিরক্ষর। এই দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগণ তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে ততটা সচেতন নয়। তাদের সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিবস পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যে সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছে, বাংলাদেশের প্রতি তাদের অনুগত্য ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তাই জাতীয় আইনগত সহায়তা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকারগুলোর অনীহা ছিল। আইনগত সহায়তা নিতে সবার আগে দরকার জনসচেতনতা। সে জন্য প্রচারণা প্রয়োজন। কারণ অনেকেই নিরক্ষর। তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই এ দিবস। ষষ্ঠবারের মতো দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশ। এবারের স্লোগান ‘উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ, লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ।’
মন্ত্রী বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সামর্থ্যবানরা নিজের খরচে আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন। কিন্তু অসামর্থ্যদের আইনগত সহায়তা দিতে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। লিগ্যাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় আইনি দীর্ঘসূত্রতা কমানো গেছে, এখন এর সুফল পাচ্ছে জনগণ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ