মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত

খুলনা অফিস : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ আট হাজার ৯৫৬ ভোট। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ শেষে বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা দুটি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া যায়। এ দুই কেন্দ্রে ৭৭৭ ভোট পান আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক । তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭১০ ভোট। কেসিসি’র পিটিআই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটাররা এবং সোনাপোতা কেন্দ্রে নারী ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিয়েছেন।
 কেসিসি ভোটাররা প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১৫৬১টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন এবং নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
এদিকে তালুকদার খালেক শিবিরে চলছে উল্লাস। আর জয় থেকে ছিটকে পড়ায় হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থকদের মধ্যে। একই অবস্থা দেখা গেছে অন্য তিন মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও।
খুলনা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে ফল আসার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে উঠেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। এরই মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ানোর ধুম পড়েছে। তালুকদার খালেকের কিছু নেতাকর্মী ও সমর্থক খুলনা শহরে আনন্দ মিছিলও বের করেছেন।
অন্যদিকে, ভোটকেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলের প্রভাবে মঞ্জু ও বাকি মেয়র প্রার্থীদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।
এদিকে কেসিসি নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ এনে একশরও বেশি কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভোট নেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন ধানের শীষের প্রার্থী। মঞ্জু যখন এই সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন, তখন ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। আর প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের চেয়ে পিছিয়ে থাকেন মঞ্জু। যত সময় যেতে থাকে, ততই বাড়ে ব্যবধান।’
মঞ্জু এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ফলাফল আসছে এটা কাক্সিক্ষত ফলাফল না। খ্লুনাবাসী ভোট প্রয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ ধুলিসাৎ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির কাছে।’
সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নগরীর ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। দিনভর ছয়-সাতটি কেন্দ্রে জালভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এসেছে গণমাধ্যমে। আর প্রতিটিতেই ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু কেন্দ্রে কয়েকটি ভোট স্থগিত করে কিছু ব্যালট বাতিল করা হয়। আর শেষ পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্র স্থগিতও করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউনুচ আলী কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, যেসব কেন্দ্রে গোলযোগ হয়েছে সেগুলো না হলে ভালো হতো। কিন্তু অল্প কিছু ঘটনার পরেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ