বুধবার ১৫ মে ২০২৪
Online Edition

তারেক রহমান ইস্যুতে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব -ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারেক জিয়া যাবজ্জীবন সাঁজা পাওয়া আসামী। আরেকটি মামলায় তাকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এটা হতে পারে না।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেকের বিদেশে থেকে স্কাইপিতে কথা বলার বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। তাদের যেহেতু আরপিও অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই ফলে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে। আর বিষয়টির যদি উপযুক্ত সমাধান না হয় তাহলে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, তারেক রহমানের অনলাইনে বক্তব্য সাইবার অপরাধ হতে পারে। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এটা করতে পারে না। তিনি একজন ফেরারি আসামী হয়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে এটা কীভাবে হয়।
আকাশপথে তারেক রহমানের বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যেহেতু কোনো মিজাইল নেই ফলে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে, বলেন কাদের।
স্কাইপি অ্যাপ বন্ধ কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা বিটিআরসির বিষয়। তারাতো দেশের সীমানার বাইরে আকাশপথে যুদ্ধ করবে না। দেশের ভেতরে থেকে কেউ এমন প্রচারণা চালালে সে বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। দেশের ভেতরের বিষয়ে হয়তো তারা এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের আরেক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, আমরা দেখছি তারেকের স্কাইপি ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন কী করে। সোমবার এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজ (মঙ্গলবার) এমন বক্তব্য দেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ৬৫-৭০টি আসন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শরিকদের ৬৫-৭০টি আসন দেওয়া হবে। চূড়ান্ত তালিকা ২৫ নবেম্বর প্রকাশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দু’টি আসনে নির্বাচন করবেন। একটি টুঙ্গিপাড়া, আরেকটি পীরগঞ্জ আসনে। দলের বাকি সবাই একটি আসনে নির্বাচন করবেন। আমি এবার নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচন করবো। মাশরাফি নড়াইল-২ আসনেই নির্বাচন করবে। ওখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির ছিল। তিনি এ আসনটি জোটের জন্য সেক্রিফাইস করেছেন।’
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারা জানিয়ে দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দলের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জরিপে এগিয়ে থাকলেও বিতর্কের কারণে কক্সবাজারের আব্দুর রহমান বদি ও টাঙ্গাইলের আমানুর রহমান খান রানাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বদির জায়গায় তার স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী মনোনয়ন পাচ্ছেন। আর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে রানার জায়গায় মনোনয়ন পাচ্ছেন তার বাবা আতাউর রহমান খান।
বিতর্কের কারণে আবদুর রহমান বদিকে বাদ দেওয়া হলেও তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঘরে কী সবাই অপরাধী? আপনি অপরাধী হলে কী পরিবারের সবাই খারাপ? বদি সম্পর্কে যে কন্ট্রোভার্সি আছে, তার প্রমাণ কী আছে? তবু কন্ট্রোভার্সি থাকায় অলটারনেটিভ বেছে নিয়েছি আমরা।’
টাঙ্গাইলে ঘাটাইল আসনের এমপি রানার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি মার্ডারের অভিযোগে রানা জেলে আছেন। তাই তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আতাউর রহমান খান মনোনয়ন পাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘মাশরাফি নড়াইল-২ আসনেই নির্বাচন করবে। ওখানকার বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির ছিল। উনি এই আসনটি জোটের জন্য সেক্রিফাইস করেছেন।’
এছাড়া ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুটি আসনে নির্বাচন করবেন। একটি টুঙ্গিপাড়া আরেকটি পীরগঞ্জ আসনে। দলের বাকি সবাই একটি আসনে নির্বাচন করবে। আমি এবার নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচন করবো’ বলেও জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা।
আসন বণ্টন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘শরিকদের ৬৫-৭০টি আসন দেওয়া হবে। চূড়ান্ত তালিকা ২৫ নবেম্বর প্রকাশ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ