মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরের ক্লিনিকগুলোতে চলছে চিকিৎসার নামে প্রতারণা

এম,এ, জাফর লিটন , শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ ) : শাহজাদপুর শহরে ব্যাঙের ছাতার মত গঁজিয়ে উঠা ক্লিনিকগুলো চিকিৎসার নামে করছে রমরমা বাণিজ্য। আর অমানবিক বাণিজ্যের শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। খোঁজ নিয়ে জানাজানা যায়, শাহজাদপুর শহরে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক/হাসপাতালে সু চিকিৎসার সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকলেও সেখানে অতিরিক্ত হারে ফি আদায় করা হচ্ছে। বলা যায়,যে অনেকটা রোগীদের ব্লাক মেইল করেই আদায় করছে  অতিরিক্ত চিকিৎসা ফি। সে রকম ডাক্তার কিম্বা নার্সিং সেবা না থাকলেও বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে রোগী এনে তাঁদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। প্রতারিত এসব রোগীদের সিংহভাগ গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা।  অথচ কেউ যেন দেখেই দেখছেনা ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসা প্রতারণা। একজন গর্ববতি মায়ের বাচ্চা প্রসবকালে নর্মল ডেলিভারি কিম্বা সিজার কোনটিতেই কম নিচ্ছেনা ক্লিনিক মালিকরা। নর্মল ডেলিভারীর শতভাগ সম্ভভনা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য সিজার করছে। এ ছাড়াও সাধারণ পেটের ব্যথা উঠলেই এ্যাপেন্টিসাইডের কথা বলে অপরারেশন বাবদ ১২০/১৫ হাজার টাকা আদায় করছে ক্লিনিকগুলো। ভুক্তভোগীরা জানায়, ক্লিনিকগুলোর দালাল কিম্বা ম্যানেজার সবাই ধার্য্যকৃত ফি আদায় করছে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে। রোগী দরিদ্র কি সচ্ছল তাঁর দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। রোগী ভর্তি করে নির্দিষ্ট ফি না দিতে পারলে অপারেশন কিম্বা সিজার করা হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে থাকে। যেখানে কোন রকম মানবিক মূল্যবোধ কাজ করেনা। এ ক্ষেত্রে ভর্তি করা দালাল পাচ্ছে বিশেষ একটি কমিশন। শাহজাদপুরের ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসা সেবার পরিবেশ ও মান নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট প্রশ্ন। অথচ জেলা ও মহানগরগুলোর নামি দামি ক্লিনিকগুলোতেও অনুরুপ ফি আদায় করা হয়। তাই সুযোগে সদ্বব্যবহার করে শাহজাদপুরের ক্লিনিকগুলো সাধারণ রোগীদের যেমন বিভ্রান্ত করছে তেমনি করছে প্রতারণা। তাই সচেতন মহল মনে করেন, নি¤œ মানের চিকিৎসা প্রদানকারী  ক্লিনিকগুলোর প্রতারণার বিরুদ্ধে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রদান করা উচিৎ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ