শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

অতিরিক্ত বইয়ের ভারে ন্যূব্জ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা

খুলনা অফিস : খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বইয়ের ভারে অতিষ্ঠ। শিশু শ্রেণি থেকে অতিরিক্ত বইয়ের এই ভার বহন করা শুরু হয়। শিশুদের স্কুলব্যাগ বহন নিয়ে আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে। যা মানছেন না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত বই। ব্যাগে ব্যাগে বই যাচাই-বাছাই করার আশ্বাস দিয়েছেন নবাগত শিক্ষা কর্মকর্তা।
জানা গেছে, স্কুলশিশুদের ব্যাগ বহনে আইন, নীতিমালা বা বিধিমালা প্রণয়নে কেন সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট কর্তৃক একটি রুল জারী করা হয়। রুলে প্রাথমিক-পূর্ব শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যাগ বহন না করতে এবং প্রাথমিক-পরবর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুর ওজনের ১০ ভাগের বেশি নয়, এমন ওজনের ব্যাগ বহনের বিষয়ে আইন, নীতিমালা বা বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ভারী স্কুলব্যাগ বহন করার ফলে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। তাদের মেরুদন্ড এবং হাড়ের জোড়া অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। বর্তমানেও বইয়ের বোঝা টানতে হাসফাঁস করছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি, লবণ, গ্লুকোজ বের হয়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। মহানগরীর খুলনা জিলা স্কুল, সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফস স্কুল, সরকারি ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বইয়ের ব্যাগ অভিভাবকদের কাঁধে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের কাঁধে থাকলেও তার ভারে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। ঘেমে যাচ্ছে শরীর। খুলনা জিলা স্কুলের আফরোজা খানম নামের এক অভিভাবক বলেন, আগে শিক্ষার্থীদের ব্যাগে বেশি বই নিয়ে আসতে হতো না। এখন স্কুল ব্যাগ বইয়ের ভারে এমন অবস্থা করে যে অভিভাবককে তা কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম হোসেন শান্ত বলেন, ব্যাগে বই বেশি থাকে, নিতে হয়। কেননা স্কুল থেকে আর বাসায় না এসে সরাসরি ব্যাচ ও কোচিংয়ে যেতে হয়। খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, স্কুলে সরকার নির্ধারিত বই ছাড়া বেশি বই আনার সুযোগ নেই। তবে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি কোচিং ও ব্যাচে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত বই নিয়ে আসে। নবাগত খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম সিরাজুর দোহা বলেন, আদালতের নির্দেশনা ও সরকারের নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের নিদের্শনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই। স্কুল শিক্ষার্থীদের বইয়ের ব্যাগে সরকার নির্ধারিত বই ছাড়া অন্য কোনো বই আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ