স্যানিটেশন-হাইজিন খাতকে মূলধারায় নেয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: এসডিজি-৬ অর্জনে প্রয়োজনীয় অর্থায়নসহ নিরাপদ পানি স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতকে মূলধারায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশ নেটওয়ার্কিং সংস্থা।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়। ওয়াটারএইড, ইউনিসেফ, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, ডব্লিউএসএসসিসি-বি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স যৌথভাবে এর আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে মোস্তফা মিয়া, ওয়াশ এলাইন্স ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে অলক মজুমদার, ডাব্লিউএসএসসিসি-বি এর পক্ষ থেকে শাহ মোহাম্মদ আনোয়ার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে এই খাতের উন্নয়নে সব প্রয়োজন বিবেচনায় এনে সাম্য ও ন্যায্যের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশ সেক্টরের সঙ্গে জড়িত ওয়াশ নেটওয়ার্কিং সংস্থাসমূহ। এ সময় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক গবেষণা উল্লেখ করে পিপিআরসি'র চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, দেশে ওয়াশ খাতে অর্থ বরাদ্দের দীর্ঘমেয়াদি ধারা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও গত তিন বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও ওয়াশ খাতে বরাদ্দ ৫ শতাংশ হারে স্থির রয়েছে।  তিনি বলেন, সরকার এরই মধ্যেই ওয়াস খাতের অর্থায়নের প্রশংসনীয় উন্নতিসাধন করলেও গত ৯ অর্থবছরে জিডিপি ও জাতীয় বাজেট বৃদ্ধির তুলনায় ওয়াশের আপেক্ষিক বৃদ্ধির মাত্রা ৫৬.৩১ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে কম। ওয়াশ খাতের বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গবেষণায় উঠে এসেছে। তিনি বলেন, পানি পয়-নিষ্কাশন এবং হাইজিন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা এজেন্ডা। তাই সরকারের পক্ষ থেকে এ খাতে বাজেট দেয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে আন্তর্জাতিক সহায়তার জায়গাটা জোরদার করা জরুরি। এসডিজি-৬ অর্জনে ওয়াশ খাতে অর্থায়ন ঘাটতি কমিয়ে আনা, গ্রামীণ ও মাঝারি শহর এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাদ্দ বৃদ্ধি, দূর্গম এলাকাসমূহ এবং বরাদ্দ না পাওয়া সিটি কর্পোরেশনগুলোতে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ দেয়াসহ মোট ৬টি সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।