রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকার বিদায় করতে হবে -ড. মঈন খান

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, আত্মসমালোচনার মাধ্যমে সংশোধন হয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করতে হবে। আমাদের নিজেদের আত্মসমালোচনা করতে হবে। যে ভুলগুলো আছে তার শোধরাতে হবে। যে পর্যন্ত আমরা আমাদের এই ভুলগুলো শোধরাতে না পারছি, সে পর্যন্ত আন্দোলন করে বিজয়ী হওয়া যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মঈন খান বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারকে শর্টকাটে বিদায় করা যাবে না। এ সরকারকে বিদায় করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। বর্তমান সংসদীয় সরকার একনায়ক সরকারব্যবস্থার চেয়েও খারাপ। এখানে একজনের কথার বাইরে কিছু হয় না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিতে হবে। তারপরে আন্দোলন গিয়ে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলন করার আগে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে একঘরে করতে হবে। তাহলে এ সরকারকে বিদায় করা যাবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিনা বিচারে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে না। দিন দিন তার শারিরক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বার বার দাবি করলেও সরকার তার সুচিকিৎসা দিচ্ছে না। এক জন নাগরিক হিসেবে সবাই সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু নাগরিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সত্যিকারের দেশ প্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক। জনপ্রিয় নেতা হওয়ায় তাকে সিপাহী জনতা ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে তিনি দেশের মানুষের অন্তরে অনন্তকাল বেচে থাকবেন।
তিনি বলেন, দেশে কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না। একের পর এক সাংবাদিক হত্যা করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা প্রতিদিনই বেকার হচ্ছে। বিনা কারণে সাংবাদিকদের মালিকরা চাকুরিচ্যুত করছে। সাংবাদপত্রে আজ সত্য কথাও প্রকার করা যায় না। দুনীূতি রিপোর্ট আজ প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন,আন্দোলন করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই সরকার কোনভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে না। আমাদের রাজপথে আন্দোলন করেই বেগম জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ