রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ৩১ মে  বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। ১৯৮৭ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ ও এর হহযোগী সংস্থা সমূহের উদ্যোগে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ টোবাকো এন্ড লাঙ্গ হেলথ’ ( Tobacco and Lung Health)

এবছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফুসফুসের সুস্থতা এবং সব ধরনের তামাকপণ্য থেকে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে জনগণ, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দেয়া।

তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায ১ লক্ষ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ি দীর্ঘমেযাদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগ, যা একইসাথে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর ২৮ শতাংশের জন্য দায়ী।

২০১৭ সালে এই হার বেড়ে ৪দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৩ সালে ছিল মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়–য়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওযা গেছে । যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুযাযী বাংলাদেশে এখনও ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ (৩৫দশমিক ৩ ভাগ) প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।

এবিষয়ে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, কার্যকর কর ও মূল্য পদক্ষেপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত কম। ফলে দেশের তরুণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুব সহজেই তামাক ব্যবহার শুরু করতে পারে।

আসন্ন বাজেটে কার্যকর করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম জনগণ, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধীজোট মনে করে, বিগত দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রন ক্ষেত্রে এফসিটিসি স্বাক্ষর ও অনুস্বাক্ষর, আইন ও বিধিমালা প্রনয়ন এবং আইন সংশোধন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে । জনস্বার্থে দেশেআইন ও বিধিমালা প্রণীত হলেও কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজন আরো অগ্রগতি। প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) প্রতি বছরের ন্যায এবারও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ