বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরে নৌকায় পিকনিক আনন্দের নামে অশ্লীলতা

শাহজাদপুরের বড়াল নদীতে একটি পিকনিক নৌকায় উঠতি বয়সি যুবকদের উল্লাস।

এম, এ, জাফর লিটন, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গম পল্লি অঞ্চলে পিকনিকের (বনভোজন) নামে নৌপথে চলছে অশ্লীলতা। প্রতি বছর বন্যার পানিতে এসব উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে যাওয়ায় উঠতি বয়সী স্কুল. কলেজ পড়–য়া যুবকরা আয়োজন করে নৌকায় পিকনিকের। শাহজাদপুরের বড়াল নদী, করতোয়া নদী ও হুরাসাগর ও যুমনা নদীকেই পিকনিকের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বখাটে যুবকরা। শাহজাদপুর ছাড়াও উল্লাপাড়ার উধুনিয়া, বড় পাঙ্গাসী এবং পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ চলনবিলাঞ্চলের দুর্গম জলাভূমিতে দিনে রাতে প্রেমতরীতে চলছে পতিতাদের অশ্লীল নাচ ও গান।  আর এসব পিকনিকে আনন্দ বিনোদনের জন্য নেয়া অশ্লীল নৃত্যশিল্পীদের। এসব  নৃত্যশিল্পীরা অশ্লীল পোশাক ও অঙ্গ ভঙ্গিতে ডুবাচ্ছে যুবসমাজকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুম ভিত্তিতে যাত্রার নর্তকী ও পতিতা ভাড়া করে এনে মোটা অর্থের বিনিময়ে পিকনিকের প্রেমতরীতে সরবরাহ করে আসছে। ফলে স্থানীয় অভিভাবকেরা উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যত ও ক্রমবর্ধমান নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। পতিতাদের পসরা বানিয়ে তাদের সাথে প্রেমতরীতে ভাসিয়ে প্রতাপশালী দেহব্যবসায়ীরা যুবকদের অর্থ ও চারিত্রিক অবক্ষয় সাধন করে স্বল্প সময়েই আঙ্গল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন। অপরদিকে, স্থানীয় যুবসমাজকে রক্ষায় এ অঞ্চলে চলাচলকারী নৌকা বাঁশেরছঁই তোলা ও সামিয়ানা টাঙ্গানো স্যালোইঞ্জিন চালিত ভাসমান বনভোজনের এসব নৌকাতে গান বাজনা, নাচা, নাচি ও বিনোদনের অন্তরালে চলমান দেহ ব্যবসায় বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক ও বিজ্ঞমহল। বিশেষ করে ঈদুল আযহার পরদিন থেকেই নিয়মিত ভাবে চলছে নৌকায় পিকনিকের আয়োজন।  মৌসুমের শুরুতেই উল্লাপাড়া-শাহজাদপুরসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন যুবক জানান, 'দিনের বেলায় একজন পতিতা নাচের শিল্পী (কুৎসিত সুন্দরী ভেদে) ভাড়া নিলে খদ্দের যুবকদের গুনতে হয় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। আর দিনের বেলার পাশাপাশি রাতে ওভারটাইম হিসেবে গুনতে হয় ২ থেকে ৪ হাজার টাকা। তার সাথে নৌকা ভাড়া, সাউন্ড সিষ্টেম ও ডোকেরেটর মালামালের জন্য আরও অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় দেহব্যবসায়ী ওই চক্রকে। গত ২ বছর পূর্বে পিকনিকের নৌকাসহ পতিতা ও  যুবকদের আটক করা হলেও এবছর কোন অভিযান লক্ষ্য করা যায়নি। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত)  শহিদুল ইসলাম জানান, ইতিপূর্বেও খবর পেয়ে ধরার চেষ্টা করেও দ্রুত সরে পড়ায় ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। সুনির্দিষ্ট ও আগাম তথ্য পেলে এদের গ্রেফতার করে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ