সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

অধিনায়কের দায়িত্ব পেলে নিতে প্রস্তুত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

স্পোর্টস রিপোর্টার :  বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নেতৃত্বটা উপভোগ করছেন না সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও চাইছেন, নতুন কাউকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হোক। তবে বিসিবি অধিনায়ক সাকিবের জায়গায় এখনও এমন কাউকে যোগ্য মনে করছে না। মেহেদী হাসান মিরাজ,সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমানরা এখনও তরুণ। তাই তরুণদের এখনই দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়েও খুব বেশি এগুচ্ছে না টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে সাকিব যদি সত্যিই আর নেতৃত্ব দিতে না চান, তবে হয়তো সিনিয়র কাউকেই আবারও এই দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। মাশরাফি বিন মর্তুজা ওয়ানডে অধিনায়ক, টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেন না। বাকিদের মধ্যে অন্যতম সফল অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও আর নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী নন। তামিম ইকবাল শ্রীলংকা সিরিজে দায়িত্ব পেয়েও নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে সিনিয়রদের মধ্যে নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা আছে শুধু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। তবে দলের দায়িত্ব পেলে তা সঠিক ভাবে পালন করতে চেস্টা করবেন বলে জানান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটি পণ্ড হওয়ায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখথা জানান। সাকিব আল হাসান অধিনায়কত্ব উপভোগ করেন না। যদি তাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয় তবে তিনি নিতে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন,‘আমি কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি আমাকে দায়িত্ব দিলে আমি তা পালনের চেষ্টা করবো। মোদ্দা কথা, আমাকে বিবেচনায় আনা হলে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো তা পালনের।’ মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন, ‘আসলে এটা একটা বড় দায়িত্ব এবং সম্মান। কারও মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের দায়িত্ব বা চ্যালেঞ্জ আসে আমার সামনে, তবে কেন নিব না। গত বছর জানুয়ারিতে দেশের মাঠে শ্রীলংকায় সিরিজে সাকিবের ইনজুরির কারণে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে। এরপর তার  নেতৃত্বেই কলম্বোয় নিদাহাস ট্রফিও খেলেছিল বাংলাদেশ। গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালটা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে। রিজার্ভ ডে না থাকায় ট্রফিটা ভাগাভাগি করতে হয়েছে। তবে পুরো সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ভালো-খারাপ নিয়েই। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে পরাজয় এবং ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের পর বেশ সমালোচনা হয়। এ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো দল। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে ফলাফল ভালো হত। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমাদের দল এর চেয়ে আরও বেশি কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য রাখে। টেস্টে হারার পর সবার সঙ্গে কথা হয়েছে, যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তারপর টি- টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ হারার পর মোরালি কিছুটা ব্যাকফুটে ছিলাম। তারপরও সবার ভেতরে যে স্পৃহাটা ছিল, ওটাই কাজে দিয়েছে।’ আফগানিস্তানের কাছ থেকে কিছু শেখার আছে নাকি এমন প্রশ্নে মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমার মনে হয় না ওদের (আফগানিস্তান) কাছ থেকে আমাদের আহামরি কিছু শেখার আছে। আমাদের ভুলের পরিমাণটা বেশি ছিল, তাই রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আসে নাই। তবে ওদের (আফগানিস্তান) ক্রেডিট দিতে হবে যে, ওরা ভালো ক্রিকেট  খেলেছে। একইসময় আমরা খুব বাজে ক্রিকেট খেলেছি। বাংলাদেশের উন্নতির অনেক জায়গা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে বাড়তি অনুশীলন করা প্রয়োজন। তা না হলে আসন্ন ভারত সফরে ভালো করাটা কঠিন হয়ে যাবে।’ এদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি নিজে এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে এবারের জাতীয় লিগকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ঐ বড় আসরে অংশ নিতে এবং ভাল করে  খেলতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সবাইসহ তিনি নিজেও নাকি মুুখিয়ে আছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ