বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

কলারোয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : এক বছর আগে নির্মিত কলারোয়া পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ভেঙেচুরে সৃষ্ট খানা গর্তে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পৌরবাসীসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষ উপজেলা সদরে প্রবেশে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে সেপ্টেম্বর মাসে কলারোয়া পৌর কর্তৃপক্ষ থানা মোড় থেকে মডেল স্কুল মোড় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করে। কিন্তু বছর ঘুরে পরবর্তী বর্ষা শেষ হওয়ার আগে এই রাস্তা ভেঙ্গেচুরে অসংখ্য খানা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

বৃষ্টি হলে পানি জমে খানা গর্ত গুলো একাকার হয়ে স্থান বিশেষে খালের দৃশ্য ধারণ করে। পানির মধ্যে খানা গর্তে পড়ে সাইকেল ভ্যান ভেঙে পথচারীর হাত পা কেটে ছিড়ে যাচ্ছে। এই সড়কের পাশে সরকারী হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, মডেল হাইস্কুল সহ একাধিক ডায়গোনেষ্টিক সেণ্টার, বেসরকারী ক্লিনিক অবস্থিত। উপজেলার সীমান্তবর্তী পাচ ইউনিয়নের লক্ষাথিক মানুষ এই সড়কে উপজেলা সদর, জেলা শহর, বিভাগীয় শহর, রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। তাই হাজারো সমাস্যা বিপদ মাথায় নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। 

অপর দিকে পৌরসভা কর্তৃক এক বছর আগে কলারোয়া বাজারের বেত্রবতী ব্রীজ থেকে কলাগাছি মোড় পর্যন্ত সড়ক নির্মিত হয়েছে। এই সড়ক সংগে একদিকে যশোরের মনিরামপুর অন্যদিকে কেশবপুর উপজেলায় প্রবেশের রাস্তা সংযুক্ত হয়েছে। দুই লক্ষাধিক মানুষের প্রবেশ পথের এই পৌর সড়কটি বছর না ঘুরতে ভেঙ্গেচুরে খানা গর্তের সষ্টি হয়েছে। স্থান বিশেষে পানি জমে খালের দৃশ্য ধারণ করেছে। পানির ভিতর খানা গর্তে পড়ে সাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইক, থ্রিহুইলার ভেঙ্গে যাচ্ছে। পথচারী জনসাধারণের হাত পা কেটে ছিড়ে যাচ্ছে। 

চলতি বর্ষা মওসুম শুরু হওয়ার আগে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ থেকে গো-হাট মোড় পর্যন্ত সড়ক ভেঙ্গেচুরে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার পৌর সভার ঝিকরা প্রাইমারী স্কুল থেকে মাঠপাড়া রাস্তার কার্পেটিং উঠে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এব্যাপরে কথা বলার জন্য একাধিক বার ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়রকে মোবাইল করে পাওয়া যায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ