সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

নাঙ্গলকোটে বাদীর বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

কুমিল্লা অফিস: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হত্যা চেষ্টা মামলার বাদী ও ভিকটিমের বিরুদ্ধে আসামীর মা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির মদনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মদনপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কবির বাদলকে ধারালো অস্ত্র্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে একই গ্রামের মৃত গাজিউল হক ভূঁইয়ার ছেলে খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে নুরুল আলম লিটন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদলকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  এ ঘটনায় আহত বাদলের ভাই গোলাম হোসেন বাদী হয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খলিলুর রহমান ভূঁইয়া ও নুরুল আলম লিটনকে আসামী করে নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর খলিলুর রহমান তার ছোট ভাই মঈনুল হোসেনের স্ত্রী শান্তি আক্তারকে তাদের বাড়িতে মারধর করার একটি মিথ্যা ঘটনা সাজান। পরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার মা লুৎফন নাহারকে বাদী করে গোলাম কবির বাদল, তার ছেলে মো. সাগর ও মামলার বাদী গোলাম হোসেনকে আসামী করে নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে ওই গ্রামের সমাজ সেবক হাজী আব্দুর রশিদ, মাও. আতাউর রহমান, মাও. রবিউল আলম ও কাজী সফিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে টর্চ লাইটের আলো চোখে মারাকে কেন্দ্র করে বাদলকে ধারালো অস্ত্র্র¿ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খলিলুর রহমান ও নুরুল আলম লিটন। কিন্তু তাদের বাড়িতে গত ২১ সেপ্টেম্বর মঈনুল হোসেনের স্ত্রী শান্তি আক্তারকে মারধর করার কোন ঘটনা ঘটেনি। উল্টো তারা বাদলদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লুৎফন নাহার বলেন, বাদল লোকজন নিয়ে আমাকে গালমন্দ করে বাড়িতে হামলা করে। আমার পুত্রবধূ শান্তি আক্তারকে কুপিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে আহত বাদল বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি কোন ঘটনা করেনি। তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। উল্টো তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে তারা। নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, উভয় পক্ষের মামলা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ