বুধবার ০১ মে ২০২৪
Online Edition

প্রচারণার গতি বেড়েছে আ’লীগের দুই মেয়র প্রার্থীর

# নুতন ওয়ার্ডগুলো গুলশান-বনানী থেকেও  উন্নত হবে -আতিক
# নৌকার বিজয় হলে উন্নত ঢাকার সূচনা হবে -তাপস
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা সিটি নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণার গতিও বেড়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সাথে কৌশল বিনিময় করছেন তারা। এসময় অনেক প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন ভোটাদের।
নির্বাচনী প্রচারণা কালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বেরাইদ এলাকায় অনেক খাল দখল হয়ে আছে। নির্বাচিত হলে সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হবে। বেরাইদ হয়ে উঠবে হাতিরঝিল থেকেও সুন্দর।
গতকাল মঙ্গলবার  রাজধানীর বেড়াইদ মুসলিম হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাতিরঝিলে অনেক খাল দখল হয়েছিল। সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায়ও বেশকিছু দৃষ্টিনন্দন খাল আছে। সেগুলোকে উদ্ধার করে হাতিরঝিলের থেকে সুন্দর করা হবে। বেরাইদবাসীকে আর কষ্ট করে হাতিরঝিল যেতে হবে না। এটিই হবে হাতিরঝিল থেকে সুন্দর।’
তিনি বলেন, ‘এই ৪২ নম্বর ওয়ার্ডসহ নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, এলজিইডি’র সঙ্গে কথা হয়েছে। এই এলাকার প্রতিটি রাস্তা চওড়া হবে, ড্রেন হবে, রাস্তায় বাতি থাকবে। কথা দিচ্ছি, আমি মেয়র নির্বাচিত হলে এই এলাকা গুলশান-বনানী থেকে উন্নত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আগের নির্বাচনের প্রচারণার সময় এই এলাকায় এসেছিলাম। তখন ১০০ ফিট রাস্তা ছাড়া আর কোনো রাস্তা ছিল না। মানুষদের কি দুর্ভোগ হতো সেটি দেখেছি। বিগত নয় মাসে এখানকার রাস্তার অবস্থা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো।’
ডিএনসিসির নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ডের জন্য চার হাজার ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান এই মেয়রপ্রার্থী। তিনি নির্বাচিত হলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সুস্থ, সচল ও গতিময় ঢাকা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নির্বাচনী গণসংযোগের একাদশ দিনে পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সভাপতি শেখ বজলুল এবং সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি প্রমুখ। এ সময় ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে পরিচয় করিয়ে দেন আতিকুল ইসলাম।
এদিকে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি উন্নত ঢাকা গড়তে নয়, তাদের নেত্রীকে মুক্তির আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নাজিরা বাজার এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, সাঈদ খোকন এখনো মেয়র রয়েছেন। চেয়ারে থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। তবে সাঈদ খোকন আমাকে সব সময় সমর্থন দিচ্ছেন। আড়ালে আমার জন্য কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এবার মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি (সাঈদ খোকন) মনে কষ্ট পেয়েছেন। এটা স্বাভাবিক। কারণ তিনিও তো দল করেন। মনে কষ্ট পেলেও তিনি আমার পক্ষে আছেন।
তাপস বলেন, ঢাকার মানুষ পহেলা ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি সারাদিন তারা নৌকার পক্ষে রায় দেবে। নৌকার বিজয় হলে উন্নত ঢাকার সূচনা হবে। একই সময় তিনি উন্নত ঢাকার বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি'র প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। নির্বাচনের নামে তারা আন্দোলনের কর্মসূচি বেগবান করতে চাচ্ছে। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন করছে।
তাপস বলেন, আমাদের কাছে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা এই ঢাকাকে আরো উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য পাঁচটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নির্বাচনের জন্য ভোট দেয়ার জন্য একটা আধুনিক পদ্ধতি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার জন্য ঢাকাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি তারা নৌকার পক্ষে রায় দিয়ে উন্নত ঢাকা গড়ার জন্য আমাকে সুযোগ দিবেন- এই কামনা আমি করছি।
এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ কামাল, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ