জনগণকে আন্দোলনের পক্ষে নিতেই বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে -মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: জনগণকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে নিতেই বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার সকালে মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যে, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি, জনগনকে এখানে সম্পৃক্ত করবার আন্দোলন হিসেবে আমরা নিয়েছি। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগনকে সংগঠিত করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে নিয়ে যেতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, জনগন যদি সম্পৃক্ত হয় দেশনেত্রীর মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং ঢাকা নগরবাসীর যে কষ্ট তা থেকে মুক্তির জন্যে তাবিথ আউয়াল যে কর্মসূচি দিয়েছে, সেই কর্মসূচিতে জনগন একত্রিত হবে, ঐক্যবদ্ধ হবে।
তাবিথের আউয়ালের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। জনগণের উত্তাল তরুঙ্গের মধ্যে সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ করে তাবিথ আউয়ালের ধানের শীষ জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত তাদের যে দায়িত্ব তা সুচারুরূপে পালন করতে পারেনি। নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন তাদের অযোগ্যতার আরেকটা প্রমাণ। তাদের দেখা উচিত ছিলো এই তারিখের সাথে সরস্বতীর পূজার বিষয়টা সম্পর্ক। এই কমিশন অযোগ্য। তারা কখনোই সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনে তারা একই ঘটনা তারা ঘটিয়েছিলো।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাইতুল মোশাররফ জামে মসজিদের কাছ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে ভোটের প্রচারনা শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব। এই সময়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাসহ ঘুড়ি মাকায় দলের কাউন্সিলর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিব রাস্তার দুই ধারে মানুষজনকে ধানের শীষের লিফলেট দেন এবং ভোটের দিন সবাইকে ভোট কেন্দ্রে আসতে বলেন। তাবিথও ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের কাছে গিয়ে লিফলেট দেন এবং দোয়া চান।
বিএনপি মহাসচিব ৪৫ মিনিট নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর পর দলের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাবিথ মহাসচিবকে বিদায় দিয়ে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচারনা অব্যাহত রাখেন।