রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ক্লাবগুলোর কাছে পারিশ্রমিক চাইছেন ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার : করোনার কারণে প্রায় চার মাস মাঠে খেলা বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। কারণ দেশের সিংহভাগ ক্রিকেটারের রুটি-রুজি আসে প্রিমিয়ার লিগ থেকে। প্রিমিয়ার লিগ এবছর মাঠে না গড়ালে, ক্লাব ক্রিকেটই যাদের অর্থ উপার্জনের একমাত্র উৎস- তাদের কী হবে? মার্চের ১৫ তারিখ মাঠে গড়িয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার কারণে বাংলাদেশের পাঁচটি সিরিজ বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কবে খেলা মাঠে গড়াবে তা বলা মুশকিল। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব গুলোর কাছে পাওনা পারিশ্রমিকের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদল অনুষ্ঠিত হয়েছে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে। দলবদলের শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাবকে চুক্তির সময়  মোট পাওনার ৫০ ভাগ মিটিয়ে দেয়ার কথা। বাকি ২৫ ভাগ লিগের মাঝামাঝি ও অবশিষ্ট ২৫ ভাগ লিগের শেষে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, আবাহনী লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, প্রাইম দোলেশ্বর ব্যতীত আর  কোন ক্লাবই এই নিয়মের ধার ধারেনি। ক্রিকেটারদের এমন দুঃসময়ে ওই ক্লাবগুলো যেন চুক্তির ৫০ ভাগ পাওনা পারিশ্রমিক পরিশোধ করে সেজন্য সিসিডিএম'র (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ) কাছে অনুরোধ করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-কোয়াব। মঙ্গলবার রাতে অনলাইনে সভায় বসেছিল ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (কোয়াব)। কোয়াবের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, করোনা পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে সভায় ধরেই নেয়া হয়েছে খুব সহসা মানে অন্তত এক-দুই মাসের ভেতরে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াচ্ছে না বা গড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য করণীয় খুঁজতে গিয়ে কোয়াব কর্তারা বিসিবির মাধ্যমে ক্লাবগুলোর কাছে একটি আন্তরিক আবেদন রেখেছেন। কোয়াব থেকে বিসিবির কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলো যেন যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটারদের অন্তত ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়। তাতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতি কিছুটা হলেও পোষাবে। কোয়াব সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়সহ সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল, টি টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আব্দুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, জহুরুল ইসলাম অমি, নাসির হোসেন, এনামুল হক জুনিয়র, শাহরিয়ার নাফীস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নাইম  শেখরা এ অনলাইন সভায় অংশ নেন। তাদের সাথে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন ও বিসিবি পরিচালক এবং সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনামও সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন। তাদের মতামতও নেয়া হয় এবং বিসিবির ও দুই শীর্ষকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে  জেনে যান যে, কোয়াব বোর্ডের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর কাছে ক্রিকেটারদের অর্ধেক পারিশ্রমিক আবেদন করেছে। বিসিবিকে বলা হয়েছে ক্লাবের সাথে আলোচনা করে ৫০ ভাগ পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে। এছাড়া কোয়াব জাতীয় দলের অনুশীলন ও বিদেশ সফরের বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় দলের অনুশীলন কবে কোথায় শুরু হবে এবং জাতীয় দল বিদেশ সফরে যাবে কি যাবে না?- সে বিষয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে। এ নিয়ে  কোয়াবের আর কোন ভিন্ন বক্তব্য নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ