বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারের আওতায় ইসরাইল

৬ ফেব্রুয়ারি, বিবিসি : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি একটি রুল জারি করে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত যুদ্ধপরাধ ও নৃশংসতার বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে তাদের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবারের এই রায়ের ফলে এখন থেকে আইসিসিতে পশ্চিমতীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় সংঘটিত ইসরাইলি নৃশংসতার বিচার চাইতে পারবে ফিলিস্তিনিরা। এই রায়ে ফিলিস্তিনিরা খুশি হলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।   

১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় নির্বিচারে শিশু হত্যা থেকে শুরু করে স্থানীয়দের জমি দখল করে সেখানে অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে আসছে ইসরাইল। যুগের পর যুগ ধরে জায়নবাদী এই রাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়ে আসলেও এর বিচার পর্যন্ত চাইতে পারছে না অধিকৃত পশ্চিমতীর, গাজা ও জেরুজালেমের বাসিন্দারা।

২০১৫ সাল থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তদন্ত করে আসছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি ফাতৌ বেনসুদা। এরআগে তিনি বলেছিলেন, সেখানে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা ‘বিশ্বাস করার যৌক্তিক ভিত্তি’ রয়েছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার জারি করা রুলে আইসিসি জানিয়েছে, ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেমকে এখন থেকে এ আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে আনা হলো।

ইসরাইল আইসিসি’র সদস্য নয়। দেশটি এই বিচারিক এখতিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থাটিকে ‘রাজনৈতিক সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে এর বিচার থেকে নিজেদের ‘সব নাগরিক ও সেনাকে রক্ষা করার’ অঙ্গীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ‘আদালতের এই সিদ্ধান্তে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তার নাগরিকদের রক্ষা করার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

তবে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিতায়েহকে উদ্ধৃত করে দেশটির বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলেছে, ‘(আইসিসি’র) এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার ও মানবতা, সত্যের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা এবং শহীদদের রক্ত ও তাদের পরিবারের জন্য এক বিজয়।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এই অপরাধ বিচারে আইসিসির ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করে আসছে জায়নবাদী দেশটি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ